বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অনুসন্ধান

সেজেগুজে ঠায় বসে রইল জানলায়। বলে, কোনো কাজ করতে পারবো না। যেমন হেজল দাগড়া তেমনি বদমাইস। হবে না? ছোট ঘরের মেয়ে যে! ওর বাবার নাম পাগলা মাস্টার।

অমলা আড়াল থেকে স্বামীকে দেখবার জন্যে এসে দাঁড়িয়েছিল। বাবার প্রতি অমন অপমানসূচক শব্দ প্রয়োগে সে আর স্থির থাকতে পারে না।

সামনে এসে বলে— বাবার নামে অমন যা তা বলবেন না আপনি। আমি কি করেচি না করেচি আপনাদের তা জানি নে, কিন্তু আমার বাবা যে কারো কোনো অনিষ্ট করেন নি বা করতে পারেন না এটা আমি ভালো করেই জানি।

শাশুড়ী ঠাকরুণ রণচণ্ডী মূর্তি ধারণ করলেন। ছেলেকে দিব্যি দিলেন সে যেন ও বৌয়ের মুখদর্শন না করে। অনেকরাত্রি জেগে দু-জন দু-জানলায় বসে রইল।

সেদিন নারাণবাবু আহার করতে বসে বললেন— এঁচড় কোথা থেকে পেলে? অসময়ে এঁচড়।

মনোরমা বললেন—আমি জানি নে, ননীমাধব কোথা থেকে এনেচে।

নারাণ মাস্টার বললেন—কোথা থেকে আনবে? এ নিশ্চয়

১৮