বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অনুসন্ধান

ওঁর সাবজেক্টে যে এগারটা ফেল! তার বুঝি কোনো কৈফিয়ত নেই? গরীবের ওপর যত জুলুম! বেশ।


বাজারে এসে সেই দোকানে মাস্টারেরা ভাঙা পেয়ালায় চা খান। সেখানে রাখালবাবু কথাটা তোলেন। স্কুল কমিটির অবিচার সম্বন্ধে কথাবার্তা হয়। একজন মাস্টার (যদুবাবু) বলেন শুধু টিউশনি করি সকাল থেকে পাঁচটা। বিকেলে আরো পাঁচটা। তাতেও কি সংসার সুচারু রূপে চলে? একটি বড় মেয়ে ঘাড়ে। দেশের তরুণদের যাঁরা গড়ে তুলবেন, গোটা জাতিটিকেই তাঁরা গড়ে তুলচেন—তাঁদের দিকে কে তাকায়?

ভগ্নমনে যে খাঁর বাড়ি যান। সন্ধ্যা হয়ে আসে ৷

যদুবাবু বলেন—তোমরা যাও, আমি আবার গুণী মল্লিকের বাড়ি প্রাইভেট পড়াতে যাবো।

-খেলেন না কিছু? বাড়ি যাবেন না?

—বাড়ি গেলে সময় পাবো কখন? ওই কোনোদিন রাস্তায় খেতে খেতেই পথ চলি দু-এক পয়সার বিস্কুট কি মুড়ি। কোনোদিন তারও সময় হয় না। আমাদের আবার খাওয়া, তুমিও যেমন ভায়া!

২১