বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভূমিকা

স্বর্গত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বহু উপন্যাস ও ছোট গল্পের রচয়িতা। কিন্তু তিনি একমাত্র ‘অনুসন্ধান’ ছাড়া ‘নভেলেট’ বা এই জাতীয় ক্ষুদ্র উপন্যাস রচনা করেন নাই। ‘অনুসন্ধান’কে আপাত দৃষ্টিতে বড় গল্প বলিয়া প্রতীয়মান হইলেও ইহা গল্প নহে, ইহা একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ উপন্যাস। উপন্যাসের বিস্তৃতি ও রস ইহাতে রহিয়াছে। ‘অনুসন্ধান’ চলচ্চিত্রের কাহিনী হিসাবে রচিত হইয়াছিল এবং ১৩৫৪ সালের শারদীয়া ‘সোনার বাংলা’য় প্রকাশিত হইয়াছিল। গ্রন্থকারের ‘অনুসন্ধান’কে বর্ধিতায়তন করিবার ইচ্ছা ছিল। এই কারণে গ্রন্থটি এযাবৎ পুস্তাকাকারে প্রকাশিত হয় নাই। গ্রন্থকারের মৃত্যুতে তাহা সম্ভব হয় নাই। ‘অনুসন্ধান’, ‘সোনার বাংলা’য় যেভাবে প্রকাশিত হইয়াছিল এখানেও সেভাবেই মুদ্রিত করা হইল।

‘অনুসন্ধানে’র সঙ্গে তিনটি গল্প মুদ্রিত হইল। ইহার মধ্যে ‘সান্ত্বনা’ নামক গল্পটির একটি ইতিহাস রহিয়াছে। ১৯৪৯ খৃস্টাব্দে ভারতের প্রধান মন্ত্রী শ্রীজওহরলাল নেহরুর ষষ্ঠিতম জন্মদিবস উপলক্ষে তাঁহাকে ‘নেহরু অভিনন্দন গ্রন্থ’ দ্বারা সম্বর্ধন করা হয়। এই উপলক্ষে বিভূতিভূষণের ‘সান্ত্বনা’ নামক গল্পটি লিখিত হয় এবং ইংরেজি ও হিন্দী ভাষায় প্রকাশিত ‘নেহরু অভিনন্দন গ্রন্থে’ মুদ্রিত হয়। ‘নেহরু অভিনন্দন গ্রন্থে’র প্রকাশকগণ কিছুকাল গল্পটির মূল ভাষায় প্রকাশে বিরত থাকিতে অনুরোধ জ্ঞাপন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মূল পাণ্ডুলিপিটি গ্রন্থাকারের