অনুসন্ধান
টাকা দাও। মা বললেন—কি করে বলিস এসব কথা ননী? ওঁর বয়স হয়েচে, সংসারের জন্যে ওঁর এখন চিন্তা এসে পড়েচে, আগে তো গায়ে আঁচড় লাগাতে দিতাম না। এখন ভালো করে একবাটি দুধ খেতে দিতে পারি নে। তোকে কলের গান কেনবার টাকা কোথা থেকে দেব।
ছেলে মার সঙ্গে ঝগড়া করে—সমান উত্তর করে। অবশেষে বাবার পায়ের শব্দ পেয়ে খিড়কি দোর দিয়ে বেরিয়ে চলে যায়।
নারাণ মাস্টার ঢুকে স্ত্রীকে চোখ মুছতে দেখে বলেন কি হোল, চোখে কি? তিনি তো সংসারের কিছু খবর রাখেন না। স্ত্রী বলেন—চোখে কি হয়েছে, সব সময় জল পড়চে।
ওঁর মেয়ে আবার চিঠি দিয়েচে। মনোরমা বলেন সে কথা স্বামীকে। ওকে একবার দেখে এসো না গো! ওদিকে তো যাও। নারাণ মাস্টারের মনটা কেমন করে ওঠে। পাশের গ্রামে যাবার সময় ওর শ্বশুর বাড়ির সামনে দিয়ে যান। মেয়ে জানলায় দাঁড়িয়ে আছে। জামাইয়ের সঙ্গে দেখা। জামাই বলে, আসুন বাড়িতে। নারাণবাবু বলেন—সময় নেই, যাবো না, অমলাকে বুঝিও।
বাড়ি এলে মনোরমা বলেন,—হ্যাঁগা, তুমি গিয়েছিলে?
২৬