পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুসন্ধান নারাণবাবু বলেন-হঁ্যা, খুব যত্ন করলে। অমলার শাশুড়ী নিজে এসে কত কথা বললে । জল খাওয়ালে। । গ্রীতি ও ইন্দুভূষণের শেষ দেখা। গ্রীতির বিয়ে অন্য স্থানে স্থির হয়েচে । শ্রীতির অভিভাবকদের হাত এতে সম্পূর্ণ ; বেচারী গ্রীতি নিরুপায়, সে শুধু জানাতে এসেচে গোপনে ইন্দুভূষণকে । বাড়ির পিছনে এক জামতলায় দু-জনে এসে দাড়িয়েচে । গ্রীতি বললে-আমি কি করবো ইন্দু-দা, আমি কি করতে পারি? আমি তোমার সঙ্গে পালাতে পারি, কিন্তু বাবা তাতে মরে যাবেন । তা করতে পারবো না । শ্রীতির বিবাহের পরদিনই সকালে উঠে। মনোরম দেখলেন। ছেলে ননীমাধব ঘরের দোর খুলে রেখে মায়ের বাক্স ভেঙে তিনশো টাকা ও বাবার সাবেক আমলের ঘড়িটি নিয়ে কোথায় পালিয়ে গেছে। একখানা চিঠি খুজে পাওয়া গেল, তাতে সে লিখেছে, বৃহত্তর জগতের আহবানে আজ সে বাড়ি ছেড়ে চললো, বাবা-মা যেন কিছু মনে না করেন। নারাণ মাস্টার স্ত্রীকে বোঝান। মনোরমা বলেন-হঁ্যাগ, তুমি যাও, ওকে এনে দাও। · Sዓ