অনুসন্ধান
খুব খাতির করলেন তিনি। বললেন, তিনি জানেন না যে আসামী তাঁর ছেলে। খুব বিস্ময় প্রকাশ করলেন এ কথা শুনে। কেন এমন হোল?
নারাণ মাস্টার চুপ করে থাকেন। পরে নারাণবাবু সব বললেন।
দুঃখ করে ম্যাজিস্ট্রেট বললেন—আমি জানি, এরকমই হয়। পণ্ডিতের বংশে পণ্ডিত ও সৎ ছেলে জন্মগ্রহণ করলে তো পৃথিবী স্বর্গ হয়ে যেতো।
আচ্ছা আমি চলি, বললেন নারাণবাবু।
মিঃ কান্ওয়ার বললেন—আপনি আমাকে Rural Bengal চিনিয়েছিলেন। প্রকৃত বাংলা দেশ কি তা আমাকে চিনিয়েছিলেন আপনি। আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে। আমি যদি জানতাম আসামী আপনার ছেলে, তাহোলে ওকে কনভিকশন দিতাম না। বড়ই দুঃখিত আমি যে আমার অজ্ঞাতসারে আপনার ছেলের জেল হোল। আমার বাসায় যাবেন না! আমার স্ত্রী আপনাকে দেখলে বড় খুসী হবেন।
—এখন আমার সময় হবে না মিঃ কান্ওয়ার। আমার স্ত্রী পুত্রের শোকে শয্যাগত। একা ফেলে রেখে এসেচি। আমায় আজই ফিরতে হবে।
৪২