এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অনুসন্ধান
নারাণবাবু কিন্তু মুখ বুজে শুয়ে পড়ে থাকেন।
অসুস্থ স্ত্রীকে নারাণবাবু সত্যকথা বলতে পারেন না। নিজে সেবা করেন স্ত্রীর। স্ত্রী সেই অবস্থায় উঠে নিজে চা করে দিতে যান স্বামীকে। নারাণবাবু বাধা দেন।
একখানি চিঠি এল, ছেলে জেলের মধ্যে মনের ঘৃণায় আত্মহত্যা করেচে।
মিঃ কান্ওয়ার দুঃখ করে পত্র লিখেচেন।
নারাণবাবু গেলেন, পুত্রের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিলেন। মুখাগ্নি করলেন।
বাড়ি ফিরে এলে মনোরমা ব্যস্তভাবে বলেন—ওগো, খোকা আমার কাছে রাত্রে এসেছিল। তুমি কোথায় গিয়েছিলে? বলো না? সত্যি করে বলো না? কথা বলো না কেন? কি হয়েছে? প্রায় মিনতির সুরে বলেন—হ্যাঁগা বলো না আমায়? বলো না সে কেমন আছে?
নারাণবাবু রোগশয্যাগত স্ত্রীকে নিজে বার্লি করে খাওয়ান।
—দাঁড়াও, আমি নিজে উঠে তোমায় চা করে দি—
৪৪