এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
টান
ভালবাসতেন ছেলেবেলায়—নারকোল নাড়ু, চিঁড়ে, কলা, এই সব যোগাড় করে নিয়ে আসতো। শুধুহাতে কখনো আসে নি।
বামা কিন্তু মারা যায় আমার মামার বাড়িতেই হঠাৎ কি একটা অসুখ হয়ে। মার সঙ্গে দেখা হয় নি। মার সেজন্যে খুব দুঃখ হয়েছিল। আমাদের কাছে পর্যন্ত বামার নাম করতেন আর চোখের জল ফেলতেন।
আমি বললাম—আপনি বামাকে দেখেছিলেন?
—না, আমার দাদা দেখেছিলেন, তখন দাদার ছ-সাত বছর বয়েস।
—তারপর?
—তারপর কর্ম উপলক্ষে বাবা-মা উগাণ্ডা চলে গেলেন এবং সে দেশেই বাস করতে লাগলেন। আমরাও গেলাম, ক্রমে বড় হলাম সে দেশে। বাবার চাকরির উন্নতি হোল। আমার এক বোনের বিয়ে হোল মোম্বাসায়, সেখানে হুগলী জেলার বন্দীপুরের রামতারণ চক্রবর্তী শিপিং কোম্পানীর অফিসে চাকরি করতেন, তাঁর বড় ছেলে শিবনাথ আমার ভগ্নীপতি।
পরের বৎসর আমার মা মারা গেলেন।
আমার বোনের বিয়ের আগে থেকেই তিনি হৃদরোগে কষ্ট
৫৭