টান
করে নি। সে সম্পূর্ণ নিস্পৃহ, উদাসীনভাবে একদৃষ্টে জ্বলন্ত চিতার দিকে চেয়ে বসে ছিল। এখনো সে ছবি আমি দেখচি যেন চোখের সামনে। চিরকাল আঁকা থাকবে সে ছবি আমার মনের পটে।
হুগলী জেলার এক অখ্যাত গ্রাম থেকে মৃত্যুজয়ী স্নেহের টানে আজ বিশ বছর পরে বামা ঝি চলে এল পূর্ব আফ্রিকার নাইরোবির শ্মশান ভূমিতে।
বেশিক্ষণ আমরা দেখিতে পাই নি। সবসুদ্ধ বোধ হয় মিনিট পাঁচ-ছয় হবে বামা ঝিকে আমরা দেখতে পেয়েছিলুম সবাই মিলে। তার পরই মিলিয়ে গেল সে মূর্তি।
আমরা বেশি কিছু কথা বলি নি এর পর। দাহ কার্য শেষ করতে সকাল হয়ে গেল। নদীতে স্নান করে আমরা বাড়ি ফিরে এলুম তখন বেলা সাতটা সাড়ে সাতটা। ওই নদী তীরেই আমার মার দশপিণ্ড দেওয়া হয় এর দশদিন পরে এবং মন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেন রেল অফিসের অবিনাশ গাঙ্গুলী, নাইরোবির বাঙালীদের বাড়ির মোটামুটি বিয়ে পৈতে ষষ্ঠীপুজো তিনিই করতেন। তাঁর নামই ছিল আমাদের মধ্যে ‘পুরুত-কাকা।’
নদীর ওপারে শৈলশ্রেণী সন্ধ্যার অন্ধকারে ঢেকে গেল।
৬০