চ্যালারাম
চুপি কাবুল ছেড়ে কান্দাহারের পথে রওনা হোল। চারখানা লরিতে বোঝাই হোল শুধু টাকা—তামার চওড়া পাতে আঁটা কাঠের ভারী বাক্স বোঝাই নগদ টাকা। প্রাইভেট মোটর দু-খানায় রাজা, রানী, ছেলেমেয়ে। সামনে পেছনে দু-খানা লরিতে তেরপল চাপা মেসিনগান।
শেষ রাত্রে কুয়াশার মধ্যে কাবুলের নিঃশব্দ রাজপথ দিয়ে দেশের রাজা রানীকে নিয়ে আমরা তীরের বেগে গাড়ি উড়িয়ে দিলাম।
কাবুল নদী পেরিয়ে একটা ছোট পাহাড়ের ওপর বিদ্রোহীদের একটা ঘাঁটি। এতগুলো গাড়ি গেলে নিশ্চয়ই ওরা সন্দেহ করে পথ আটকাবে। জাঠ পুরণমল মেসিন গানের পেছনে তৈরী হয়ে বসলো। আমরা কি করবো ভাবচি—স্বয়ং আমানুল্লা হুকুম দিলেন কেটে বেরিয়ে চলো—
গম্বুজের কাছে ওরা অনেকে জড় হয়েছে দূর থেকে দেখতে পাচ্ছি। আমরা এ্যাকসিলারেটরে পা দিয়ে সজোরে চাপলাম—চালাও! হু হু করে স্পিডোমিটারে ত্রিশ মাইল থেকে ঠেলে উঠল চল্লিশ····পঞ্চাশ—চক্ষের নিমেষে ওদের ঘাঁটিটা একটা রাঙা কালো আবছায়ার মত পাশ দিয়ে উড়ে বেরিয়ে গেল—দুমদাম রাইফেল চললো··· পট্পট্ মোসনগান উত্তর দিলে আমাদের দিক থেকে। একখানা
৭২