বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সান্ত্বনা

—একুশ বছর আগে?

—হ্যাঁ। ওনার ইস্কুলের চাকরি যাবার পরেই আমরা গাঁ ছেড়ে চলে যাই।

—বাবা দুঃখ পান নি?

—তা আর পায় নি। শেষের দিকে প্রায়ই বলত—গাঁয়ে ফিরে যেতে পারলে আমি বোধ হয় আর কটা দিন বেশি বাঁচতুম। গাঁয়ের মেয়েরা বসে বসে এই সময় নিশ্চয় বসন্তের রোদ পোহাচ্চে আর কুল শুকোচ্চে, বাঁশঝাড়ে বাঁশঝাড়ে কোকিল পাপিয়া ডাকচে—উঃ, কোন রকমে যদি গাঁয়ে ফেরা যেত···। শহরের ছোট্ট ঐটুকু বাড়িতে গরমে একেবারে অস্থির হয়ে পড়ত।

—আমি যদি তখন বড় হতুম, মা, তা হলে বাবাকে নিশ্চয়ই গাঁয়ে নিয়ে আসতুম।


সুরেশ একহারা গড়নের শক্তসমর্থ ছোকরা। সে ফুটবল খেলে, দেশ স্বাধীন হবার পরে রাইফেল ক্লাবে বন্দুক ছোড়া শিখচে। রেলের চাকরিতে অ্যাপ্রেণ্টিস হয়ে ঢুকেচে, এ বছরে সেটা শেষ হলে ভাল চাকরি পাবে। এরই মধ্যে রেলওয়ে কলোনীর ওপরওলা অনেক অফিসারের

৭৮