সান্ত্বনা
—তোমার দিব্যি, এই দেখ! কটা তুমি খেতে পার?
তারপরে তারা দু-জনে সেই মিষ্টি নিয়ে কি কাড়াকাড়ি লাগিয়েছিল··· ত্রিশ বছর আগে—অথচ মনে হয় যেন গতকালের কথা। এই ঘরবাড়ি ‘তার’ স্মৃতিতে পরিপূর্ণ। প্রতিটি ঘর ও বারান্দা, গৃহের প্রতি কোণ, কাঠের চৌকি, রান্নাঘরে কাঠের পিঁড়ি, প্রতিটি ক্ষুদ্র বস্তু তার বধূজীবনের প্রথম দিকের স্মৃতিতে ওতপ্রোত হয়ে আছে। তার তরুণ স্বামী এ ঘর থেকে ও ঘরে ঘুরে বেড়াত, আর সে লজ্জারুণ চঞ্চল-হৃদয়া নববধূর মত তার অলক্ত-রঞ্জিত ব্যস্ত পায়ে পাশে ঘুরত নানান কাজে।
ননীবালার মনে হতে লাগল যেন এখনই পাশের ঘরে গেলেই সে তার স্বামীকে কাঠের তক্তপোশে বসে আছে দেখতে পাবে। আবার ও ঘরে গেলে মনে হয় তার স্বামী এ ঘরে আছে। বিগত দিনের মত এখনও যেন তার স্বামীর সঙ্গে লুকোচুরির খেলা চলেচে···।
একদিন একগোছা নতুন ধানের শীষ নিয়ে এসে ওকে বলেছিলো—এগুলো মা-লক্ষ্মীর ঝাঁপিতে তুলে রেখে দাও, এই প্রথম নতুন ধান উঠেচে। শাঁখ বাজাও, আমার
৮৪