পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जांरुन ‘সন্স চুপ, মা শুনতে পাবেন। ও সব হবে না যাওকঁচা তেঁতুল খেয়ে জ্বর বাধাতে চাও বুঝি ? -“আহা-হা তুমি নিজে যেন খাবে ন-আমি একলা সবটা খাব বলিচি না কি ? মা এখন অগাধে ঘুমোচ্চেন। লক্ষ্মীটি তাড়াতাড়ি কর । আচ্ছ, সত্যি করে বল তো, তেঁতুলের আচার খাবার কথায় তোমার জিভে জল আসচে কি না ? শেষ পর্যন্ত তাই হল, ননীবালা রান্নাঘরের দিকে গেল। তার স্বামী বললে—“দাড়াও, আমি এখনি লেবুর পাতা নিয়ে আসচি। তেঁতুলগুলো ভাল করে ধুয়ে নাও, নইলে খেতে খারাপ লাগবে।” -“আচ্ছা, আচ্ছ, সবজান্ত মশাই’, ননীবালা রাগের ভান করে বলে-“তেঁতুল ধুলে নষ্ট হয়ে যায়, মাকে জিগ্যোস করে দেখোঁ৷ ” দু-জনে মিলে সব তেঁতুল খেয়ে ফেললে। পরদিন তার স্বামীর গলাব্যথা আর সর্দি হল। ননীবালা তর্জনী তুলে শাসনের সুরে বললে-“আর তেঁতুল খাবে? তখনি বলি নি। আমি ? শুনলে না। আমার কথা । আমার মত লোকের কথা শুনবেই বা কেন ? -“মাকে বলে না যেন।' -“একশো বার বলবো। তবে তোমার শিক্ষা হবে।” bやり