এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সান্ত্বনা
ননীবালার সম্মুখে এখনও পড়ে রয়েচে সুদীর্ঘ অস্পষ্ট পথ; কতদিন তাকে এভাবে চলতে হবে তা কেউ জানে না··· কিন্তু, না না, তার সুরেশ আছে। ভগবান তাকে বাঁচিয়ে রাখুন। ননীবালা তাকে বিয়ে দিয়ে ঘর-সংসার গুছিয়ে দিয়ে যাবে। এখনও সে ছেলেমানুষ, ঘরকন্নার কিছুই বোঝে না। তার ছেলেকে দেখাশুনো করার দায়িত্ব তারই।
হঠাৎ সুরেশ এসে বললে—মা লেবুব পাতা আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে একটু তেঁতুল মেখে দেবে?
ননীবালা চমকে উঠল। নির্বাক হয়ে সে চেয়ে রইল তার ছেলের মুখের দিকে, তার পরেই তার উদগত অশ্রু রোধ করার জন্য অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিল। অবিকল তার বাবার মত কথা বলতে সুরেশ শিখল কোথা থেকে? একই স্বর, একই সুরে কথা বলা···
গ্রামে ফিরে আসার পর থেকে সে অবিরত তার স্বামীর পদধ্বনি শুনচে; অন্যমনস্ক হয়ে পড়চে, সমস্ত কিছুই যেন তার কাছে অর্থহীন শূন্য খোলা বলে মনে হচ্ছিল।
* * *
৮৮