সান্ত্বনা
একদিন গ্রামের হরিদাস চক্রবর্তী এসে গাঁয়ের সমস্ত মেয়েদের সত্যনারায়ণের পাঁচালী শুনবার ও প্রসাদ পাবার নিমন্ত্রণ করলেন। তাঁর পাকা বাড়ির বারান্দায় পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। নিমন্ত্রিতা স্ত্রীলোকদের জন্য মাদুর বিছিয়ে দেওয়া হল, পুরুষেরা বাইরের চত্বরে বসল। পূর্ণচন্দ্রের আলোতে নারকেল গাছের ছায়া পড়েছে সেখানে। সদ্য তোলা যুঁই ফুলের সুগন্ধে সমস্ত বারান্দা আমোদিত হয়ে উঠেচে।
হরিদাসের স্ত্রী এগিয়ে এসে ননীবালাকে অভ্যর্থনা করলেন—এসো বোন। এসো এসো অনেকদিন পরে এখানে এলে—সেই অনস্ত চতুর্দশীর সময় আরেকবার এসেছিলে, মনে আছে?
ননীবালা বললে—খুব মনে আছে।
—তোমার বিয়ের বোধহয় এক বছর কি দু-বছর পরে।
—প্রায় দু-বছর।
—তোমার মুখ অনেক বদলে গেছে!
—মুখের কথা বলচ, দিদি—আর মুখ দিয়ে হবেই বা কি! সে সব তো অনেক আগেই চুকে গিয়েচে।
—সত্যি, ও কথা ভাবলে আমার ভারি কষ্ট হয় বোন, তার বয়সও তো বেশি হয় নি—আমার থেকে অনেক ছোট।
৮৯