সান্ত্বনা
—ননীবালা। তোমার?
—প্রীতিলতা।
—সুন্দর নাম। খুকির নাম কি রেখেছ?
—এখনও নাম রাখা হয় নি—সবাই টুনু বলে ডাকে। আপনাদের ওখানে বেড়াতে গেলে কিন্তু আপনার নাতনীর জন্য একটা নাম ঠিক করে দিতে হবে।
—নিশ্চয়ই। কালই এসো না। তুমি গান জান?
—বিশেষ কিছু নয়। আমি বরং আপনার গান শুনবো। সবাই বলে আপনি খুব ভাল গান করতে পারেন।
—আমি? আমার কি আর গান গাইবার দিন আছে মা?
—কিন্তু না···এ তো চলবে না। এত সহজেই চোখে জল আসচে যে ননীবালা প্রায় উদ্ভ্রান্ত হয়ে উঠেচে। তার ছেলেও এখন বয়স্ক হয়ে উঠেচে। তা ছাড়া এক গাঁ লোকের সামনে অভিমানী মেয়ের মত অশ্রুপাত করা তার ভাল দেখায় না।
প্রীতিলতা দেখতে সুন্দর—বছর আঠারো বয়সের হবে। ননীবালা নিজেকে সামলে নিয়ে বললে—এসো কিন্তু ঠিক। সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকবো—এই মনে করেই তো গাঁয়ে এসেচি। তোমার পথ চেয়ে থাকবো।
গোলমালটা হঠাৎ বেড়ে উঠলো। কথকতা বোধ হয় এইবার
৯১