বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সান্ত্বনা

শুরু হবে। এমনি সময়ে ননীবালার বয়সী আরেকটি মেয়ে এসে তার হাত ধরলে।

—বৌদি, আমাকে তোমার মনে আছে ভাই?

—ননীবালার বেশ স্পষ্ট মনে আছে—এই গাঁয়েরই উপেন ভট্‌চাষের মেয়ে কনক। প্রথম যখন ননীবালা স্বামীর ঘর করতে এলো—তখন রায়চৌধুরীদের সুবাসিনী আর এই কনক তাদের দরজা বন্ধ ঘরের সামনে এসে অর্ধেক রাত পর্যন্ত আড়ি পেতেচে। দু-জনের ধৈর্যও ছিল অসাধারণ! একদিন—কিন্তু না এখন সে ভুলে যাওয়াই ভাল—সে সব পাগল করা সুবাসস্নিগ্ধ দিন চলে গিয়েছে কবে—বিস্মৃতিতে ডুবে গিয়েচে। এত চেষ্টা করে সে যা প্রাণপণে ভুলে থাকতে চাইছে, এই বুদ্ধিহীনা স্ত্রীলোকের দল সেই বিষয়েই বারেবারে কথা তুলে তার স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলচে। অথচ ওরা এই সহজ সত্যটা বুঝচে না। অজস্র পুষ্পের সুরভিতে সুবাসিত সুদূর অতীতের দিন-রাত্রিগুলি কনকের উপস্থিতির সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা—সে তার সামনে না এলেই তো ভাল করত।

ননীবালা চেষ্টা করে মুখে হাসি টেনে আনলে, তারপর বললে—মনে আছে বৈকি, ভাই। তারপর, কেমন আছ?

—এই একরকম। মনে আছে—একবার উঁকি মারবার জন্য

৯২