এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সান্ত্বনা
দাদা আমার মুখে কেমন চকখড়ির গুঁড়ো মাখিয়ে দিয়েছিলেন?
এ ছাড়া কথা বলবার আর কি কোনও বিষয় নেই? ননীবালা চুপ করে থাকল। কনকও অপ্রতিভ হয়ে থেমে গেল। ইতিমধ্যে ভিড় বেড়ে উঠেচে। উঠোনে পাতার উপর প্রসাদ সাজানো হয়েছে। ননীবালারা তার পাশে গিয়ে বসল। পাঁচালী শুরু হল।
এই সময়ে একটি বৃদ্ধ লোক এক হাতে একটি ঘটি ও অন্য হাতে একটি লাঠি নিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে এসে উপস্থিত হলেন। এসেই জিগ্যেস করলেন—পাঁচালী শেষ হয়ে গেছে!
হরিদাস চক্রবর্তীর ছেলে বললে—এখনও হয় নি—কাকা, আসুন না বসবেন আসুন।
—না; এখানে মেয়েদের মধ্যে আর বসবো না। আর কতক্ষণ চলবে?
—আজ্ঞে, এই এক্ষুনি শেষ হবে।
—আমাকে ফিরে গিয়ে আবার রান্না করতে হবে। বেশি দেরি হবে না তো?
ননীবালা তার পাশের একজনকে জিগ্যেস করলে—ইনি কে!
৯৩