পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 অন্ধকারের আফ্রিকা তঁর ঘরে গিয়ে পেঁৗছতে সক্ষম হয়েছিলাম। তার ঘরখানা বেশ ছোট । ঘরের বারান্দায় একখানা বেতের চেয়ার পাতা ছিল, তাতেই বসলাম । লছমনের অৰ্দ্ধ নিগ্রেী শ্রী ঘরে কাজে ব্যন্ত ছিলেন। হাতের কাজ সমাপ্ত করে বাইরে আসা মাত্র আমি তঁকে ভারতীয় প্রথায় নমস্কার করছিলাম । এতে তিনি বড়ই সুখী হয়েছিলেন। লছমনের স্ত্রী আশা করেননি তাঁকে আমি ভারতীয় প্রথায় নমস্কার করব । আমার ভারতীয় প্রধায় নমস্কার পেয়ে লছমনের স্ত্রী জিজ্ঞাসা করাছিলেন “আপনি কি মিঃ লছমনের কেউ হন?” আমি তাকে বলছিলাম “আমি তার স্বদেশবাসী তার বয়স আমার চেয়ে বেশি। অতএব বড় ভাইএর স্ত্রী দেশে যে সম্মান পেয়ে থাকেন আপনি তাই আমার কাছ থেকে পেয়েছেন।” আমার কথা শুনে লছমনের স্ত্রী তৎক্ষণাৎ ঘরে গিয়ে স্নানের জ্বলের ব্যবস্থা করে ফের স্বাইরে এসে বললেন, “আপনি স্নান করুন, গরম জলের ব্যবস্থা হয়েছে। ’ আমি যখন স্নান করছিলাম তখন ভাবছিলাম। এই সামান্য একটি নমস্কার, তারই এত সুফল! যদি আমাদের ভেতর নানারূপ কদর্য জাতিভেদ না থাকত এবং বিদেশীদের সমাজে গ্রহণ করার “ব্যবস্থা থাকত। তবে আমাদের সমাজের কত উন্নতি হ’ত ? ঠিক করে নিলাম। এ জীবনে জাতিভেদ কুমার মানব না ! ন্যাস লেইক ( Nyasa Take ) আফ্রিকার অন্তস্থলে অবস্থিত। জাহাজে করে লেকটি পেরিয়ে এসেছি, এখন তার দক্ষিণ তীরবুর্তা স্থানুগুলি আমাকে ভাল করে দেখতে হবে এই বাসনা’ নিয়েই পোর্ট জ্যািনস্টনে আসা। আফ্রিকা সম্বন্ধে যোৱা গল্প লেখেন তাদের গল্পের আরম্ভ হবাৱ স্থান। এখান থেকেই । কারণ হুলস লেকের