পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানজিবার , રજે দুঃখের বিষয় সিলেটি লোকটির নাম আমার ডাইরীতে লিখিনি তবে তারই আদেশে এবং উপদেশে এই নিগ্রো রমণী এতটুকু উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে দেখে মনে হল, যারা বলে ছোটলোক ছোটলোকই, বংশেরও একটা দাম আছে, তারা নিরেট মিথ্যাকথা বলে সমাজকে ঠকায় । মানুষকে বদলাতে অতি অল্প সময়ের দরকার হয় । কাল মে হিন্দু ছিল আজ সে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করে যা করে তাতেও এরূপ লোকের চোখ ফুটে না ? এসব লোকই সহানুভূতি পায় উন্নতিবিরোধী সাম্রাজ্য-বাদীদের কাছ থেকে। সিলেটি ভায়ার ঘরখানা দেখে মনে হল এখানেই থেকে যাই, কিন্তু সে আশা পরিত্যাগ করে উঠবার সময় সিলেটি ভয়া আমাকে সামান্য লবংগমধু খেতে দিল। মধু খাওয়ার পর বলে দিল যদি এতে গরম বোধ হয় তবে যেন লেবুর রস খাই । আমার শরীর দুর্বল ছিল। লবঙ্গ-মধু আমার শরীরে শক্তি এনে দিল। আমি ক্রমাগত লবংগ-মধু খেতে লািগলাম। কয়েক দিন লবংগমধু খাবার পরই বুঝতে পারলাম এটাই হল আসল মৃতসঞ্জীবনী । একজন গুজরাতীর সাহায্যে দুবো ৰ ল লবঙ্গ-মধু কিনে নিয়ে আমার পিঠ-ঝোলাতে পুরে রাখলাম ভবিষ্যতে দরকার হতে পারে বলে। সিলেটি লোকটির কাছ থেকে দুটি জিনিস পেয়েছিলাম। প্রথমটি হল লবংগ-মধু, দ্বিতীয়টি হল কি কৰুে অল্প উপার্জনে ভাল করে। থাকা যায় }