পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६i:-५é-6ादाभ { বিদায় করেছিলেন। নিগ্রোদের দ্বারা যারা অপমানিত হচ্ছিল তাদের সকলেই ইসমাইলশ্রেণীর মুসলমান। ইসমাইল শ্রেণীর মুসলমানরা বড়ই ধর্মপরায়ণ। হিন্দুস্থ কুলগুরুর পা-ধোশ্ম জ্বল খেয়ে অনেকে স্বৰ্গে যাবার টিকিট কিনে এয়াও তেমনি আঁগাখানের স্বানের জল কলসে এবং লোটায় ভর্তি করে রাখে। বিপদে-আপদ সেই জল একটু আধটু পান করে, গংগা নদীর জলের মত ঘরে-বাইরে ছিটা দেয়। এক জন হিন্দু এম এসসি-র গংগাজলে যেমন অগাধ বিশ্বাস অর্থাৎ গংগাজলে পোকা হয় না বলে ধারণা আছে ঠিক তেমনি আঁগাখানের স্বানের জলেও পোকা হয় না বলেই তাদের ধারণা ; এ হেন লোকই নিগ্রে দ্বারা নানা ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছিল ; পরের দিন আমার পূর্বপরিচিত ইব্রাহিমের সন্ধানে বের হলাম। অতি কষ্টে তাকে খুঁজে বের করলাম। সে দাড়িয়ে দেখছিল। হজরত মহম্মদের জন্মদিন কি ভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে। তার সংগে সাক্ষাৎ করেই আসল কথা জিজ্ঞাসা করলাম। সে বলল এরূপ অত্যাচাৱ সন্থ করতে হবেই। এই দেখুন না, আমি একজন সিয়া, আমার কাছে এসব দৃষ্ঠ ভাল লাগছে না, হিন্দুদের সংগে প্রভেদ৷ ত লেগেই আছে। আমার ধর্ম নিয়ে যতটুকু বাজে কথা বকতে পারি অন্য কিছুতে সে ভাবে মন দেই না। ১৯৩৮ সালই বোধ হয় হবে কারণ ইব্রাহিম বলেছিল গতবার যখন আঁগাখান এখানে এসেছিলেন তখন তঁক্লে ওজন করে, সেই ওজন অনুযায়ী স্বর্ণ দেওয়া হয়। যে যত বেশী চাদ দিয়েছিল তাকে আঁগাখান তত বড় পদবী দিয়েছিলেন। যারা পদবী পেয়েছিল তার মাঝে একজন ব্যাঙ্কের টাকা চুরি করে চাঁদা দেয়। মোকদ্দমা তখনও চলছিল। আমাদের ধমৰ্শ অর্জনের একমাত্র পথ হ’ল টাকা, সেই টাকা অর্জন করতে “যদি আমাদের মান-ইজত যায়ও তাতে ক্ষতি কি ? আমরা যে মন্বলে