পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o অন্ধকারের আফ্রিকা সিভিলিয়ানও নয়, এখন তারা নিগ্রো। আফ্রিকার নিগ্রো । যাদের অপর নাম কঁাফের। তারা যখন এক স্থান হতে অপর স্থানে যায়। সেই গমনাগমনকে বলা হয় “সাফায়ী”। অনেক ইউরোপীয় পর্যটক এই নিগ্রোদের কঁধে চড়ে অনেক সাফারী করেছেন, অনেক আরব এই নিগ্রোদের রক্তে নিঞ্জেদের ছোৱা লালে। লাল করেছে, কিন্তু নিগ্রোৱা এখনও বেঁচে আছে, তারা বেঁচে থাকবে, তারা হয়ত একদিন মানুষও হবে। ডুডুমা হতে টাবোৱা পর্যন্ত সুন্দর সমতল ভূমি । এই ভূমিখণ্ডকে পাড়ি দিতে হলে অনেক খাদ্য সংগে করে নিয়ে যেতে হবে । পথে গ্রাম পাওয়া যাবে না, পাওয়া যাবে সিংহের বিচরণ-ভূমি। এমন বিপদসংকুল স্থান দিয়ে চলা উচিত হবে কি না। তাই অনেকক্ষণ * ভেবে বৃদ্ধের কথায় রাজি হলাম এবং যারা সাখী হবে তাদের খাদ্যের বন্দোবস্ত করার জন্য যঃপ্লাম। তাদের হাতে চল্লিশ শিলিং দিয়ে বল্লাম তোমাদের ইচ্ছামত খাবার কিনে আন । তারা তাদের ইচ্ছামত চাল, আটা, জুন নিয়ে এল এবং পরের দিন বুদ্ধকে সংগে জিম্বই শহরের বাইরে গেলাম। বৃদ্ধ আমাকে বিদায় দিয়ে বললেন, এ জংগলে অনেক কিছু শেখার আছে, তার পরই বৃদ্ধ চলে গেলেন। আমিও সাখীদের হঁটিতে আদেশ দিয়ে সাইকেলে বসে এগিয়ে চললাম। কতক্ষণ যাবার পরই পথটা হঠাৎ চিকুণ হয়ে গেল! একখানা মোটর যাতে চলে যেতে পারে সেরূপ প্রশান্তত নিয়েই পথটি আগিয়ে চলল। পথে দেখার মত অনেক কিছুই ছিল । রকম-রকমের হরিণ অতি কাছেই আপন মনে ঘাস খাচ্ছিল। বনগরু, আমাদের দেখে একটু দূরে গিয়ে ফের ঘাসে মুখ দিচ্ছিল । উটপাখী তাদের সংখ্যাও অনেকই ছিল। উটপাখী নাকি মরুভূমিতে থাকে। কিন্তু এটা ত भक्यूश् िमत्र, এটা একটি সুন্দর তৃণভূমি! তৃণভূমিতে উটপাখী।