পাতা:অন্ধকারের জানালা - বিদ্যুৎ মৈত্র.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অমৃত ইচ্ছা

ধূমায়িত অগ্নিশিখা আঁখি-দীপে জ্বলে,
মানস কটাহে এ কী লাভাস্ৰোত গলে!
কল্পলোকে দাবাগ্নির লেলিহান শিখা
তৃণ, পুষ্প, লতা, গুল্মে শুধু ভষ্মলিখা।
মরুভূ প্রান্তর আর জ্বলন্ত অঙ্গারে
আবরিয়া জীবনের আজন্ম প্রসারে
রেখে যায় বহুদূর শুধু অগ্নিবাহ—
হুতাশন স্পৃষ্টদেহে আরক্ত প্রদাহ।
নিশিদিন সেই জ্বালা দূর কল্পলোকে
হু হু করে প্রাণান্তিক রক্তাক্ত আলোকে
একটি মুকুল কিংবা ক্ষীণ কিশলয়
মানস ঊষর প্রান্তে পরম বিস্ময়,
একটি চন্দ্র কিংবা তারকার তরে
বিদগ্ধ আত্মার বুকে কত রক্ত ঝরে।
তবুও ছুটিছে আত্মা তৃষ্ণার্ত আগ্রহে
নিশিদিন ষ্ট্রম্বলির তপ্ত লাভা বয়ে,
দগ্ধ অঙ্গারের মাঝে খুঁজিছে বৈভবে
অস্থির আগ্রহে আর কী অতৃপ্ত লোভে।
লজ্জা ঘৃণা কিংবা কোন ব্যর্থতার ক্ষোভ
দমিতে পারেনি তার অশান্ত এ লোভ।
একটি করবী কিংবা তৃণ পুষ্প লাগি
উন্মত্ত সন্ধানে ফেরে শ্মশান বৈরাগী॥

— ১৩ —