* “অন্ধকূপ হত্যা”-রহস্য পারেন, তবুও ৮টার সময় তাহার পক্ষে ঘুম যাওয়া অসম্ভব, কারণ তিনি তখন ৭০০০০ হাজার সৈন্য ও কর্মচারীর মালিক ; সবেমাত্র তাঁহার দেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর দুর্গ দখল হইয়াছে এবং সৈন্যগণও লুণ্ঠনে রত আছে, এই সব অবহেলা করিয়া তিনি দুর্গপতনের দেড় ঘণ্টা পরে ঘুম যাইতে পারেন কি ? * সন্ধা সাড়ে সাতটার সময় হলওয়েল দেখিলেন যে কতকগুলি লােক মশাল বাতির সাহায্যে একটা ঘর খুঁজিতেছে, ইহার মধ্যে তাহার বন্ধু লিচর সহিত তাহার অনেক কথাবার্তাও হইয়াছে এবং বলিতেছেন যে ৮টায়। তাহারা অন্ধকূপে আবদ্ধ হইয়াছেন। অর্ধঘণ্টা সময়ের মধ্যে তিনি তাঁহার বন্ধু লিচ এর সহিত কথাবার্তা সমাপ্ত করিলেন, ফোর্ট উইলিয়ামের মত একটা দুর্গে প্রহরিগণ বা নবাবের সৈন্যগণ অনুসন্ধান করিয়া অন্ধকূপের ন্যায় একটা ঘরও আবিষ্কার করিলেন এবং ১৪৬ জন বন্দী লােতের বেগে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিল (তখন রাত্রি ৮টা)। সেই ঘরে প্রবেশ করিতে তাহাদের সময়ও লাগিল না, বেগও পাইতে হইল না। ইহা কি সম্ভবপর ? তিনি বলিতেছেন ঘরের দরজাটা বন্ধ ছিল এবং যে দুইটা জানালা ছিল তাহা অতি ক্ষুদ্র এবং সেই ক্ষুদ্র জানালার পার্শ্বে হলওয়েল ও তাহার সঙ্গিগণ বাতাস পাইবার জন্য দাড়াইয়া ছিলেন। সেইদিন ২২ শে রমজান বলিয়া রাত্রি ১২টার পর চাঁদ উঠিবার কথা; এমতাবস্থায় বাহির হইতে কোন আলােক রশ্মি ভিতরে যাইবার সম্ভাবনা ছিল না ; ঘরটা যে এ অবস্থায় গভীর অন্ধকারময় হইবে তাহাতে কোনই সন্দেহ নাই। এই অন্ধকারেই হলওয়েল প্রবেশ করিয়া যেমনই চারিদিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিলেন, অমনই ঘরের অবস্থা দেখিয়া তাহার মানস-চক্ষে একটা জীবন্ত ও ভয়াবহ দৃশ্য উদিত হইল কেমন করিয়া ? তাহার বর্ণনা পড়িয়া মনে হয়, তিনি | | | ৯২
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/১০০
অবয়ব