| | নবম পরিচ্ছেদ সেই ঘরের মধ্যে প্রকাশ্য দিবালােকের মত সমস্তই দেখিতে পাইতেছিলেন এবং কে কে মরিয়া গিয়াছেন তাহাও দেখিতে পাইতেছিলেন। তিনি বলেন ঘরে লৌহশলাকাযুক্ত ২টা জানালা ছিল এবং তাহার মধ্য দিয়া ভালরূপ বাতাস প্রবেশ করিতে পারিত না; কিন্তু যখন জলের প্রয়ােজন। হইল তখন তাহার মধ্য দিয়া হাটের সাহায্যে জল লইলেন কি প্রকারে। (রেকর্ড নং ৭) তর্কের খাতিরে কেহ বলিতে পারেন মশকের (জমাদারটা মশকে পূরিয়া জল আনিয়াছিল) সৰু মুখটী লৌহশলাকার মধ্য দিয়া ঘরে প্রবেশ করাইয়াছিল এবং বন্দিগণ হ্যাটের মধ্যে জল গ্রহণ করিয়াছিল। কিন্তু হলওয়েল সাহেব তাহা বলেন না। তিনি বলেন “হ্যাটগুলি লৌহশলাকার মধ্য দিয়া বলপূর্বক প্রবেশ করান হইল” (by hats forced throngh the bars )! (চ) তাঁহার ৪ খানি পত্র পাঠে মনে হয় যে, ড্রেক সাহেবের দুর্গ হইতে পলায়নের পর ২১শে তারিখ প্রভাত পর্যন্ত তিনি একজন সর্বশ্রেষ্ঠ নায়কের অংশ গ্রহণ করিয়া আসিয়াছেন। ড্রেকএর পরে তিনি দুর্গের গভর্ণর নিযুক্ত হন এবং দুর্গরক্ষার ভার গ্রহণ করেন ; দুর্গ পতনের পর তিনি নবাবের সহিত সাক্ষাৎ করেন। তিনি সমস্তদিনের কর্মক্লান্তির পর (continual f.tigue and action) অন্ধকূপে প্রবেশ করিতেছেন। সেখানেও তাহার শান্তি নাই, ক্লান্তি নাই, শ্রান্তিও নাই। বন্দিগণ জলের জন্য চিৎকার করিতেছেন, তিনি তাঁহাদের জলের ব্যবস্থা করিতেছেন ; তাহারা উত্তেজিত হইয়া উঠিতেছেন, আর তিনি তাহাদিগকে শান্ত করিতেছেন; তাহারা প্রলাপ বকিতেছেন, তিনি সদুপদেশদ্বারা তাঁহাদিগকে সংজ্ঞাদান করিতেছেন। তাঁহারা নিরাশ হইয়া পড়িতেছেন, তিনি তাহাদিগকে উৎসাহিত করিতেছেন, আর বলিতেছেন “প্রভাত সমাগমে আমরা মুক্তি পাইৰ ও মুক্ত పు
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/১০১
অবয়ব