নবম পরিচ্ছেদ গ্রন্থ সংগ্রহ করেন। সেই শাস্ত্রখানি তিনি ১৮ মাস কাল ইংরাজীতে অনুবাদ করেন এবং আর এক বৎসরের মধ্যেই তাহা শেষ করিয়া দিতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ১৭৫৬ খৃঃ অব্দে নবাব কর্তৃক কলিকাতা অধিকার কালে ইহা হারাইয়া যায়। কিছুদিন পরে সৌভাগ্যক্রমে পাণ্ডুলিপির কতকাংশ তঁাহার হস্তগত হয় ; এবং তিনি তাহাই ব্রহ্মচরতাবাদী ( Chartah Bhade of Brahma) নাম দিয়া প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, ইহা হিন্দুগণের প্রাচীনতম এবং পরম পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। তিনি আরও বলেন যে, তাঁর আমলে নাকি বাংলার তিন চার ঘর হিন্দু পরিবার ইহার পাঠ ও ভাবােদ্ধার করিতে পারিতেন•••••••••ইত্যাদি। তাঁহার এই পুস্তকখানি যদিও ইংরাজী ভাষায় লিখিত হইয়াছিল, তথাপি তাহ বাংলা, হিন্দুস্থানী, উর্দ, প্রভৃতির চলতি ভাষার সংমিশ্রণে ইহা বিকৃতাকার ধারণ করিয়াছিল। ইহা আমাদের নিকটও দুর্বোধ্য। ইহার আর আর কতকগুলি দোষত্রুটীর জন্য মিঃ লিটল (J. H. Little) বলিয়া গিয়াছেন “ইহা একটা বিরাট প্রবঞ্চনা” (Colossal fraud ); এবং তিনি এসম্বন্ধে আরও বলেন “তিনি এরূপ একটী নিলজ্জ প্রবঞ্চনা তৎকালীন সংস্কৃতানভিজ্ঞ ইউরােপে সত্য বলিয়া প্রচার করিয়াছিলেন।” (২৬)। রাজনীতি ও সাহিত্যক্ষেত্রে তিনি যেরূপ মিথ্যা ও প্রবঞ্চনার আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন, সে সম্বন্ধে অনেক কিছুই বলা হইয়াছে। তাহার নৈতিক চরিত্র সম্বন্ধে তাহার বন্ধুবান্ধব যে সব কথা বলিয়া গিয়াছেন, তাহা এস্থলে বিবৃত করিয়া এই পুস্তকের পৃষ্ঠা কলঙ্কিত করিলাম না। পাঠকগণ যদি এ সম্বন্ধে কিছু জানিতে চান, তবে তাহার সহকর্মী উইলিয়াম টুক বর্ণিত “কলিকাত অবরােধ উপাখ্যান পাঠ করিবেন। ইহা মিঃ হিল (২৬) Bengal Past and present i915 Part 1 pp. 81, 82, ।
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/১০৩
অবয়ব