- । । । “অন্ধকূপ-হত্যা”-রহস্য | এখন আমরা দেখিব এ সম্বন্ধে কে প্রথম বর্ণনা লিখিয়া যান এবং কি প্রকারে ইহা বিস্তৃতি লাভ করে। একখানি তারিখবিহীন পত্র হইতে জানি পারা যায় যে, গ্রে সাহেব এ বিষয় প্রথম উপাখ্যান লিখিয়া যান। তাঁহার পত্রে কোন তারিখ না থাকিলেও ইহা যে জুন মাসে লেখা হইয়াছিল, তাহা পত্রের শীর্ষদেশে উল্লিখিত আছে। কলিকাতার পতনের পর হলওয়েল সেখানে বন্দী অবস্থায় প্রায় এক সপ্তাহকাল ছিলেন। মিস্ এবং গ্রে সাহেবও ৩০শে জুন পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। যতদূর সম্ভব এই সময়ের মধ্যেই তাহারা হলওয়েলএর সঙ্গে পরামর্শ করিয়া কোম্পানী ও অন্যান্য লোকের এই অজস্র ক্ষতি এবং শত শত লােকের প্রাণনাশের একটি কৈফিয়তের বন্দোবস্ত করেন। এই জন্যই শত শত লােক যে তাহাদের চক্ষের সামনে গঙ্গায় ডুবিয়া মরিল হল ওয়েল তাহার কোনই উল্লেখ না করিয়া মৃত ও জীবিত সকল লােককেই অন্ধকূপে প্রবেশ করাইয়া নবাবের উপর সমস্ত দোষারােপ করিয়াছেন। এ সম্বন্ধে পরামর্শ করিলেও তাহার অন্ধকূপে আবদ্ধ তথাকথিত ১৪৬ জন লােকের কথা স্থির করেন নাই । কারণ হলওয়েল তাহার বন্দী হইবার কাল হইতে হুগলীতে ফিরিয় আসিবার কাল পর্যন্ত ১৬০ হইতে ১৭০ জন বন্দীর কথা ভাবিতেন এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি বন্ধুবান্ধবকে যে সব পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহাতে উক্ত সংখ্যারই উল্লেখ আছে। | ড্রেক তাহার জুন মাসের লিখিত উপাখ্যানে ১৪৬ জনের উল্লেখ করিয়া আসিয়াছেন। মিস্ এ যাবৎ ( দুর্গ পতনের কাল হইতে হুগলীতে আগমন পর্যন্ত) গ্রের সঙ্গী ছিলেন। তিনিও ১৪৪ জন বন্দীর উল্লেখ করেন। আমরা পূর্বেই এসব বিষয়ের কিছু কিছু আলােচনা করিয়া প্রমাণ করিয়াছি যে মিস্ তাহার রােজনামায় গ্রের উপাখ্যান হইতে অনেকাংশ উদ্ধৃত করিয়াছেন কিন্তু উক্ত ১৪৪ জন বন্দীর সংখ্যা তিনি .. . ১৪
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/১১২
অবয়ব