“অন্ধকূপ-হত্যা”-রহস্য তাহার এইরূপ বিরুদ্ধাচরণ করিবার বিশেষ কারণও ছিল। তিনি ছিলেন নবাবের মীর মুন্শী এবং সর্ব্বদা নবাবের সঙ্গে থাকিতেন। তাহার পিতা ও ভ্রাতা নবারের অধীনে চাকুরী করিতেন, কিন্তু তাহাদের সঙ্গে মনােমালিন্য হওয়ায় এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই নবাব তাহাদিগকে রাজ্য হইতে বহিস্কৃত করিয়া দেন। (৪) তারপর তাঁহাবা ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে চাকুরী গ্রহণ করেন এবং কালক্রমে সেনাপতি গড়ার্ডের ( Goddard ) প্রিয়পাত্র হইয়া উঠেন। (৫) এরূপক্ষেত্রে ঐতিহাসিক গােলাম হোসেনের পক্ষপাতিত্ব করিয়া নবাবের বিরুদ্ধে লেখাই সম্ভাবনা, এবং তার বর্ণনা হইতে জানিতে পারা যায়, তিনি নবাবের বিপক্ষে অনেক কিছু লিখিয়া গিয়াছেন। যদিও তিনি তৎকালে নবাবের সঙ্গে কলিকাতায় উপস্থিত ছিলেন--তথাপি ‘অন্ধকূপ-হত্যা সম্বন্ধে তিনি কিছুই উল্লেখ করিয়া যান না ! তাহার এরূপ নীরব থাকিবার অর্থ কি? প্রকৃতপক্ষে এ ঘটন¥টি কোন দিন ঘটেও নাই এবং তিনিও তাহার কোন উল্লেখ করেন নাই। ঐতিহাসিক মােহাম্মদ আলী খ। সম্রাট ফরখ, সিয়ার ও মােহাম্মদ শাহের শাসনকালে হাজীপুর ও ত্রিহুত জেলার ফৌজদারী আদালতের দারোগা ছিলেন। তাঁহার বর্ণনা হইতে জানিতে পারা যায় যে, তিনি ইংরাজগণের সহিত অনেক সংবাদ আদান প্রদান করিয়াছিলেন এবং তিনি খৃষ্টীয় ১৮০০ অব্দে ইতিহাস রচনা সমাপ্ত করেন। তিনিও এসম্বন্ধে কিছু বলেন নাই। . | (8) Letter from Watts to the Futta Council. dated, oth July. Hill: 13engal in 1756-57. P. 98, Elliot, vol. viii. Big6. 5) Fivot. vol. Vi11. p. 196.
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/১৬
অবয়ব