“অন্ধকূপ-হত্যা”-রহস্য উপস্থিত ছিলেন এবং সন্ধ্যা ৮টার সময় ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলেন। জুনমাসে প্রায় ৭টার সময় সূর্যাস্ত হয়। ৬টার সময় দুর্গের পতন হইলে তাহার সৈন্যগণ লুণ্ঠনকাধ্যে ব্যাপৃত রহিল, আর তিনিও দরবারে বসিলেন, এরই মধ্যে হঠাৎ ঘুমাইয়া ও পড়িয়াছেন। দুর্গদখলের দিন ২২শে রমজান ছিল, কাজেই যতদূর সম্ভব নবাব ও তাহার কর্মচারিগণের ৭টা হইতে ৯টা পর্যন্ত রােজা এফতার ও সান্ধ্যভােজনে ব্যাপৃত থাকারই কথা। কিন্তু তিনি ঘুমাইলেন কেমন করিয়া ? (জ) তিনি বলেন নবাবের দূত নারায়ণ সিংহ একজন চোর ও গুপ্তচরের ন্যায় দুর্গে প্রবেশ করিয়াছিলেন এবং তাহাকে ভদ্রভাবে বিদায় দেওয়া হইয়াছিল ; অন্যান্য কাগজপত্রের সাহায্যে আমরা প্রমাণ করিয়া দেখাইব ইহা কতদূর সত্য। (ঝ) তাহার ৪র্থ পত্রে দেখা যায় তিনি “মসিমোল্য ও মসিয়া বিসডমকে পত্র লিখিয়া আপনার দুরবস্থার কথা জ্ঞাপন করিয়াছিলেন । এই পত্র লেখার পরিণাম কতদূর দাড়াইতে পারে, আমরা পরে বিবেচনা করিব। (4) তিনি তৃতীয় পত্রে দৃঢ়কণ্ঠে বলিতেছেন যে, ড্রেক-এর পলায়নের পর তাহাদের কাহারও মনে দুর্গত্যাগের বাসনা জাগে নাই ; আমরা পরে দেখাইতে চেষ্টা করিব যে, তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। | (ট) তিনি বলেন ড্রেক-এর দুর্গত্যাগের পর দুর্গে মাত্র ১৭০ জন সৈন্য ছিল। পৃথক কাগজ পত্রের দ্বারা আমরা প্রমাণ করিব যে এই ১৭০ জন সৈন্যের মধ্যে “অন্ধকূপ হত্যার পূর্বেই ১৫৭ জনের কতকগুলি যুদ্ধে প্রাণত্যাগ করে ও কতকগুলি সৈন্য পলাইয়া যায়। ইহা ব্যতীত কেহ কেহ ডুবিয়া মরে । অনুমাণ ১০/১২ জন সৈন্স নবানেলে লন্দী . হয়।
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/৩০
অবয়ব