১ . " “অন্ধকূপ-হত্যা”-রহস্য ১২। ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট লিখিত কলিকাতা অব রােধের উপাখ্যান। ১৩ জুলাই, ১৭৫৬। ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট ড্রেক সাহেবের সহিত ১৯ শে জুন তারিখে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ হইতে পলায়ন করেন। তিনি এ-ঘটনা সম্বন্ধে ২টি বিবরণ রাখিয়া গিয়াছেন। একটি নবাব কর্তৃক কলিকাতা অবরােধ ও অধিকারের উপাখ্যান; অন্যটি তাহাদের দুর্গ ত্যাগের লম্বা-চওড়া কৈফিয়ৎ বিশেষ। কলিকাতা অবরােধ সম্বন্ধে তিনি লিখিয়াছেন•••••• আমরা পরস্পর শ্রুত হইয়াছি যে, গভর্ণর (ড্রেক) দুর্গ ত্যাগ করিলে দুর্গের অবশিষ্ট লােকগুলি দুর্গ হইতে পলায়ন করিবার উপায়ান্তর দেখিয়া দুর্গের ফটক বন্ধ পূর্ব্বক হলওয়েল সাহেবকে গভর্ণর নিযুক্ত করিয়া যে পর্যন্ত পলায়ন করিবার জন্য কোন নৌকা না পাওয়া যায় সে পর্য্যন্ত যুদ্ধ করিয়া প্রাণ বিসর্জন দিতে দৃঢ় সঙ্কল্প হইয়াছিল।••••••••• পরদিবস প্রভাতে তাহারা এই উদ্দেশ্যে ( পলায়নের জন্য নৌকার সন্ধান করিয়াছিল, কিন্তু নৌকা পায় নাই। গভর্ণরের পলায়নের ৩৪ ঘণ্টা পর ২০ শে জুন তারিখের অপরাহ্বে নবাব দুর্গ অধিকার করেন এবং এই ৩০ ঘণ্টা কালের মধ্যে প্রায় ৫০ জন ইউরােপীয় সৈন্য নিহত হয়।••• অপরাহু তিনটার সময় তাহায়া (শত্রুপক্ষ ) যুদ্ধ বিরতির সঙ্কেত করায় আমাদের সৈন্যগণ গুলি চালান বন্ধ করে, কিন্তু তাহারা বিশ্বাসঘাতকতা পূর্বক এই সুযােগে দল বাঁধিয়া আমাদেত্ন প্রাচীরের নিম্নে আসিয়া পড়ে এবং সেই সঙ্গে দুর্গ প্রাচীর উল্লম্বন করতে থাকে।•••••••••অনেকে প্রাচীরের উপর তরবারির আঘাতে প্রাণ হারাইল এবং অবশিষ্ট যে সকল হতভাগ্য বন্দী হইয়া সেই রাত্রের জন্য অন্ধকূপ নামক একটি ১৮ বর্গফুট ক্ষুদ্র কক্ষে অবরুদ্ধ হয়, তাহাদের সংখ্যা প্রায় ২০০ জন ছিল। ৩৪
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/৪২
অবয়ব