তৃতীয় পরিচ্ছেদ ইহারা সকলে ইউরােপীয়, পৰ্তুগীজ ও আর্মেনিয়ান সম্প্রদায় ভুক্ত ছিল।•••••••••এই ক্ষুদ্র কারাগারে লােকগুলিকে এমনই ঘনভাবে আবদ্ধ করিয়া রাখা হইয়াছিল যে, পর দিবস প্রভাতে তাহাদের মধ্যে ১০ জনের অধিকও জীবিত ছিল না। যাহাদের নিকট হইতে আমরা এই সব বিবরণের খবর পাইয়াছি, তাহারা বলে যে, নবাবের সৈন্যগণ সমস্ত রাত্রি ধরিয়া দরজা এবং জানালার মধ্য দিয়া বন্দিগণের প্রতি গুলি চালাইতে থাকে। কেহ আবার ইহা অস্বীকারও করেন। হলওয়েল সাহেব অন্ধকূপের জীবিত লােকগণের মধ্যে একজন ; তিনি এখন নবাবের হস্তে বন্দী। ওয়ালকট ও হলওয়েলের সহিত বন্দী হইয়াছে।” (২৫) ১৩। ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট লিখিত দুর্গ হইতে পলায়নের বিবরণ ঃ এই উপাখ্যানে গ্র্যান্ট সাহেব অন্ধকূপ সম্বন্ধে কিছু বলেন না। ইহাতে তিনি মাত্র দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন যে, যথেষ্ট কারণ বশতই তাহারা দুর্গ ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছিল। দুর্গ ত্যাগ করা হইবে কিনা সে বিষয় বিবেচনা করিবার জন্য একটি সামরিক সভার ( War Council) অধিবেশন হয় এবং ইহাতে হলওয়েল সাহেব অনতিবিলম্বে দুর্গ ত্যাগ করিবার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেন ও আমি তাহা সমর্থন করি ; কিন্তু অন্যান্য সকলেই এই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ করে।” ( ২৬)। ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট যে সময় এসব উপাখ্যান প্রণয়ন করেন তখন তিনি ফলতার নিকটস্থ জাহাজে ছিলেন। এই বিবরণ হইতে আমরা জানিতে পারি যে নবাবের সৈন্যগণ সমস্ত রাত্রি ধরিয়া অন্ধকূপের জানালা ও দরজা দিয়া বন্দিগণের প্রতি গুলি চালাইতে থাকে। হলওয়েল ৮ই | (২৫) Hill Vol, 1 p, 73-89, indian Antiquary, November, 18pg (২৬) H!ll Vo!. 1p9i
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/৪৩
অবয়ব