পুর্বাভাষ “অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য প্রকাশিত হইল। শৈশবকাল হইতে অন্ধকূপ হত্যা নামক ঘটনাটিকে সত্য বলিয়া ইতিহাসে পড়িয়া আসিয়াছি কিন্তু ইহাকে আমি এখন রহস্য বলিয়াই অভিহিত করিলাম ; কারণ এই তথাকথিত ঘটনার ১৩ দিবস পরে চন্দননগর হইতে একজন ফরাসী কর্মচারী তাহার ঢাকাস্থিত জনৈক বন্ধুকে পত্র লিখিতে গিয়া ইহাকে এবং ইহার সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলীকে Mystery of Iniquity নামে অভিহিত করিয়াছিলেন। সেইজন্য আমিও ইহাকে ‘রহস্য’ বলিয়াই অভিহিত করিলাম। যাহারা সমসাময়িক রেকর্ডগুলি বিশেষ মনােযােগ সহকারে পাঠ করিয়াছেন বা করিবেন, তাহারা ইহাকে একটা রহস্য ব্যতীত আর কিছুই বলিতে পারেন না। কারণ হলওয়েলএর ‘অন্ধকূপে মৃত যে সব ব্যক্তির তালিকা পাওয়া যায়, তাহাদের অনেকেই অন্ধকূপে প্রবেশ করিবার আগেই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণত্যাগ করেন এবং কেহ কেহ তাহাদের অন্ধকূপে মৃত্যুর পরে’ ও কোম্পানীর অধীনে চাকুরী করিতেছিলেন; অথচ নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার কলিকাতা আক্রমণকাল হইতে আজ পর্যন্ত হলওয়েলএর স্বজাতিগণ ভারতবর্ষ সম্বন্ধে যত ইতিহাস লিখিয়া গিয়াছেন তাহার প্রত্যেকখানিতেই ইহাকে সত্য বলিয়া বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। এই ঘটনা সম্বন্ধে তাহারা সন্দেহ প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন তাহাদের মধ্যে বাবু, অক্ষয়কুমার মৈত্রর নাম উল্লেখযােগ্য। তিনি এ ঘটনা সম্বন্ধে কোন পুস্তক, না লিখিয়া গেলেও সিরাজউদ্দৌল্লার জীবন কাহিনী প্রসঙ্গে ইহার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। কয়েক বৎসর পূর্বে কলেজে প্রবেশ করিয়াই উক্ত পুস্তকখানি পাঠ করিয়াছিলাম ; এবং এই পুস্তকখানি ক .
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/৫
অবয়ব