* । “অন্ধকূপ-হত্যা”রহস্য দেখিয়া একটুও ভাবিতে পারি নাই যে বিধি তাহার এই পাপের জন্য কি শাস্তির বিধান করিয়াছেন। (৪৮)•••••••••এই দুর্ঘটনার বিষয়। করিবার জন্য আমি প্রত্যেক পাঠককেই স্বাধীনতা দান করিতেছি••••• বিশেষ করিয়া হলওয়েল প্রকাশিত পুস্তকখানি পাঠ করিলেই তাহারা। সন্তুষ্ট হইবেন ••••••* (৯) মসিয়ে। ল্যএর বর্ণনা হইতে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে, হলওয়েলএর অন্ধকূপ উপাখ্যান প্রকাশিত হইবার পর এই পুস্তকখানি লিখিত হইয়াছিল এবং হলওয়েল ইহা প্রকাশ করিয়া ১৭৫৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বিলাত যাত্রা করেন। হলওয়েল কিন্তু এবিষয় স্বীকার না করিয়া তাহার উপাখ্যানের শীর্ষদেশে লিখিতেছেন ১৭৫৭ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারী তারিখে ‘সিরিন নামক জাহাজ হইতে লিখিত। তিনি তাহার পুস্তকের অন্যস্থানে বলিতেছেন “এই গভীর বিষাদময় ঘটনাটীকে••••••••বিস্মৃতির অতল তলে ডুবিতে দিব না বলিয়াই.•••••উন্ধে নির্ম্মল নীলাকাশ, নিম্নে মৃদুমন্দ বায়ু সঞ্চালিত অগণিত সফেন উর্ম্মির সহাস শ্যামলিমা, আর তাহারই মধ্যে মৃদু আন্দোলিত জাহাজে উপবিষ্ট হইয়া••••••এই সঠিক সত্য আখ্যানটা লিপিবদ্ধ করিয়া গেলাম।” (৫০) হলওয়েল সাহেব তাহার স্বভাবসিদ্ধ ভাষার মাধুর্য্য দিয়া ইতিহাসের ঘটনাবলী চাপা দিয়া গিয়াছেন কিন্তু সত্যান্বেষীর নিকট তাহা আর চাপা থাকে না। বাংলার ঘটনা তিনি বাংলা দেশেই লিখিয়া প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন, অথচ বলিতেছেন যে তিনি ইহা জাহাজে বসিয়া লিখিয়াছেন, সেই জন্যই ‘ল্য ইহার সত্যতা সম্বন্ধে দায়িত্ব গ্রহণ করিতে পারেন নাই। হলওয়েলএর বর্ণনার সহিত ‘ল্য সাহেবের বর্ণনার অতি (৪৮) ইহাতে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে এই পুস্তকখানি পলাশীর যুদ্ধের পরে লেখা হইয়াছিল। (৪৯} Hill; vol ill, PP. 169i72. | (৫• Hillvol IIi. PP3•i34, | । | .
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/৫৮
অবয়ব