কহেন অভয়া দেখ লো বিজয়া কে বুঝি পূজে আমারে
এ কৈল যেমন না দেখি এমন এই সে ধন্য সংসারে॥
হাসি জয়া কহে ওমা এ সে নহে এ ত কুবেরের বেটা।
পূজা কি কে জানে কারে বা ও মানে উহারে আঁটয়ে কেটা
ধনমত্ত অতি লইয়া যুবতী ও করে কামবিহার ।
পূজিছে তোমারে বল কি বিচারে কি কব আমি ইহার॥
ধনমত্ত যেই সে কি সেবা দেই আপনি না জান কিবা ।
নিকট হইয়া জিজ্ঞাসহ গিয়া এখনি মৰ্ম্ম পাইবা॥
পুরুষ আকারে যাহ ছলিবারে না যাও নারীর বেশে ।
মত্ত মধুপানে বিদ্ধ কামবাণে লজ্জা দেই পাছে শেষে ॥
শুম্ভনিশুম্ভারে বধ করিবারে মোহিনী হইয়া ছিলে ।
গৃহিণী করিতে আইল লইতে মো সবারে লাজ দিলে॥
জয়ার বচনে হাসি মনে মনে আপনি দেবী চলিলা ।
ব্রাহ্মণের বেশে কৌতুক অশেষে নিকটেতে উত্তরিলা ।
কহেন ব্ৰাহ্মণ শুন হে সুজন কেমন বুদ্ধি তোমার।
পণ্ডিত হইয়া পৰ্ব্ব না মানিয়া করিছ রতিবিহার॥
এই যে অষ্টমী পুণ্যদা এ তমী অন্নদার ব্রততিথি ।
ইহাতে অন্নদা অবশ্য বরদা তাঁহারে কর অতিথি॥
এই দিব্য স্থল এ দ্রব্য সকল অন্নদাপূজার যোগ্য।
না পূজি তাঁহারে যুবতীবিহারে কেন কর প্রেতভোগ্য॥
এমন শুনিয়া হাসিয়া ঢুলিয়া ঘূর্ণিত রক্ত লোচনে।
মাথা হেলাইয়া অঙ্গ দোলাইয়া জড়িমযুক্ত বচনে॥
অতিমত্ত মদে না গণে আপদে কহে কুবেরের বেটা।
এ নব বয়সে ছাড়িয়া এ রসে কার পূজা করে কেটা॥
পাতা:অন্নদামঙ্গল.djvu/১৮৮
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নলকূবরে শাপ।
১৭৯