পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন, দি ভল গা যে বাড়ীতে জন্মেছিলাম সেই বাড়ী ছেডে যেদিন ফিরে এলাম সেই সকালটার কথা মনে পড়ে। জুলাই মাস। . সব চেযে গরমের সময়। সকাল নটা হতেই সূর্য আগুনের মতো তেতে উঠে। ফিরে আসার পথে মঙ্কোকে দেখলাম। কারখানার ধোঁয়ায় আবছা নীলের মধ্য দিযে সােনালি গম্বুজগুলাে চোখে পড়ল। দূর থেকেও শহরের ভাপসা গরমের ছোঁয়াচ অনুভব করলাম। ট্রেনের জানালায় মাঠ থেকে ছুটে আসা ঠাণ্ডা হাওয়া বইছিল। ষ্টেশন ছেড়ে বেড়িয়ে আসতেই রাস্তাব গুমট গরম আর গাভীর গ্যাসের দুর্গন্ধ অনুভব করলাম। ধোঁয়ায় আর ধূলায় সব আবহাওয়াটাই কেমন যেন ভারী। রাস্তার এখানে ওখানে মেরামতের কাজ চলছে। লম্বা লম্বা লােহার ডাণ্ডা নিয়ে লােকজন ‘অ্যাসযন্টের কড়াইগুলাের তদারকে ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে এসে আশ্রয় নিলাম। দুটি মেয়ে আর একটি ছেলের মাত্র সাক্ষাৎ মিলল সেখানে। এরা তিনজনই ছাত্র কিন্তু গৃহহীন। মালপত্র মেঝের উপর নামিয়ে রেখে সেগুলাের উপরেই বসে পড়লাম। খানিকক্ষণের জন্য দৃষ্টি আমার শূন্যের দিকেই নিবদ্ধ হয়ে রইল। ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধানের ভারও মজুরদের হাতেই। নূতন রঙের গন্ধ পাচ্ছিলাম। মিস্ত্রীরা এখানে ওখানে আন্তর লাগাচ্ছে। করিডরের মেঝের উপর রাশি রাশি চুন স্তুপীকৃত হয়ে আছে। কেউ হাঁটতে গেলেই মেঝের উপর পায়ের চিহ্ন সাদা হয়ে ফুটে উঠে। যে ঘরটাতে আমার থাকার ব্যবস্থা হল তার মেঝের অবস্থাও ঠিক ঐ একই রকম। লজ্জার হাত থেকে নিজেকে রেহাই দেব মন করে যেদিন হাস- পাতালের পথে বেরিয়ে পড়লাম, সেই সকালটার কথাও ভুলব না কোনদিন জীবনে। এ সব ব্যাপারে কোন কুসংস্কার আমার না থাকলেও কেন যেন সেদিন