পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনাদি ভলগা s উত্তর দিলাম-তিন বছর পর আবার সেই বসন্ত।’ ও আমার কথাটার শুধু প্রতিধ্বনি করল। ‘আজ থেকে আমাদের জীবনের নূতন যবনিকা উঠল।” কথাটা বলেই আমি ওর মুখের দিকে তাকালাম। কথার ধাক্কায় ওর মুখখান কেমন যেন বিবর্ণ হয়ে উঠল-আমার মুখের দিকে এমন করে তােকাল যেন কিছুই বুঝতে পারেনি। দুহাত দিয়ে ও আমার দৃষ্টি থেকে ওর মুখটাকে আড়াল করতে চেষ্টা করল। ‘তাকে সব বলে তোমায় চিঠি লিখে জানাব।” উপর থেকে দরজা বন্ধ করার একটা শব্দ এল । ওর কথায় বেশ একটা দৃঢ়তার আভাস পেলাম। হঠাৎ আমার হাত দুটােকে ও আবার ওর হাতের মধ্যে টেনে নিল । ওর সারা দেহ তখন থর থর করে কঁাপিছে। হাতের স্পর্শেই তা অনুমান করতে পারছি । দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে ও ওর নরম আর রাঙা ঠোঁট দুটােকে আমার ঠোঁটের উপর চেপে ধরল। ওর উচু আর কোমল বুকের স্পর্শে আমার রক্ত চঞ্চল হয়ে উঠেছে। কিন্তু এক মুহুর্ত মাত্র।• • •দেহটাকে ছিনিয়ে নিয়ে ও ততক্ষণ সিডিটার অনেক ওপরে উঠে গিয়েছে । আমি অবাক হয়ে ওর দিকে চেয়ে রইলাম। “চিঠি লিখে সব জানাব।”-ওপর থেকে উত্তর এল । বনের বুক ঘেষে নদীর ধারা বয়ে চলেছে। অনেকদিন ওর তীরে বসে কাটিয়েছি। গাছের গুড়িটা আজও ঠিক তেমনি আছে। ওর উপরে সেদিনও বসতাম। সন্ধ্যায় ও জায়গাটায় বসে থাকতে ভারি। আরাম । নীচে নদীর ধারা বয়ে চলেছে। গাছের আড়ালে অনেকগুলো বাড়ী দেখা যায়। সূর্ধের শেষ আলো ওদের জানালায় ঠিকরে পড়ে। এখান থেকে সবই দেখতে পাই। নদীর আঁকা বাকী গতিভঙ্গী ভারি সুন্দর ।