পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন দি ভলগা ଧ୍ବର এই সাব-সময় ছুড়ে-দেওয়া ছড়িটার পিছনে ঠিক পাগলের মতো ছুটে যায় সে,-সেটাকে কামড়িয়ে ধরে ফিরিয়ে এনে পালিকার পায়ের কাছে নামিয়ে রাখে। তারপর প্রভুর চোখের দিকে অধিকতর আগ্রহে তাকিয়ে থাকে ব্যাপারটার অনুবৃত্তির অপেক্ষায়। খবরের কাগজে জড়ানো কেনা জিনিস-পত্র বয়ে শহর থেকে সব সময়ই সে পালিকার আগে আগে পথ চলে। আর মাঝে মাঝে খবরের কাগজের উপর দিয়ে ঘাড় ফিরিয়ে চেয়ে দেখে তার পালিকা ঠিক আসছে কি না । মহিলাটির বয়স প্রায় ত্রিশের কাছাকাছি। শীতের সময় একটা ধূসর রঙের স্কুইরেল কোট পরে সে। টুপিটাও তার ঠিক ঐ একই রকম ফারের তৈরী। ঘরে ফিরে কোটি আর টুপি খুলে রাখলেই তার গায়ে কনুই পর্য্যন্ত নামানো একটা কালো পোশাক দেখতে পাবে। হাতে ঝুমকা দোলানো একটা চেন ব্রেসলেট । আয়নার সামনে দাড়িয়ে অগোছালি চুলগুলোকে ঠিক করতে করতে বড় বড় চোখ দুটোর বিষগ্ন দৃষ্টি মেলে অনেকক্ষণ ধরে সে নিজের পাতলা মুখখানিকে নিবিষ্টভাবে চেয়ে দেখে । কুয়াসায় ঢাকা বাতাসের মধ্য দিয়ে পথ চলতে চলতে গাল দুটো শিটিয়ে উঠলে যেমন করে কেউ মুখের উপর দিয়ে হাতটাকে বুলিয়ে নেয়, সেও ঠিক তেমনি ভাবেই মুখের উপর দিয়ে হাতটাকে বুলিয়ে নিয়ে যায়। তারপর একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে সে তার টাইপরাইটারটার সামনে গিয়ে বসে । হাতে টাইপ করার কাজ থাকলে ক’ত্রটার দিকে সে চেয়ে প্রশ্ন করে, “ख्ास्त्र कि कच्नदिहन्न प्लेभ ?' এতক্ষণ ধরে পালিকার প্রত্যেকটি ভঙ্গী সে লক্ষ্য করছিল। প্রশ্ন হতেই পাগুলোর উপর সোজা দাড়িয়ে মেঝে থেকে হঠাৎ সে উপরের দিকে