পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(9ა या अन् नि डलों আর একটা বাসায় থাকতাম। এপ্রিলের শেষাশেষি । বার্চ গাছের ডালে ডালে সবেমাত্র ফুলের মরসুম শুরু হয়েছে। শীতের পর সেই প্রথম ব্যালকনির দরজাটা খুললাম। সুর্য অস্ত যাচ্ছিল। গাছের মাথায় মাথায় ফড়িংগুলো ছুটাছুটি করে বেড়াচ্ছে। অন্ধকার ঘনিয়ে না। আসা পর্যন্ত আমরা তার সঙ্গে ব্যালকনির উপরেই দাড়িয়ে থাকতাম। সেই গেছে আমাদের ' সব চেয়ে উজ্জল আর সুখের মুহূর্ত। সেই মুহুর্ত আর জীবনে ফিরে এল না। মানুষ হয়েও তোদের চেয়ে আমরা কত কম ভাগ্যবান বুঝতে পারিস ? তোর কথা অবশ্য স্বতন্ত্র। আমার উপর থেকে তোর ভালবাসা আজ পর্যন্তও একটু বদলায়নি’- টম ঘেউ ঘেউ করে লাফিয়ে উঠে পালিকার মুখটাকে চাটতে শুরু করে। “যখনই তোর মাথার উপর হাতটা রাখি, আনন্দ আর তোর ধরে না । কিন্তু আমাদের উচ্ছাস দুদিনেই নিভে যায়-বিশেষ করে পুরুষদের । তারপর আমরা মেয়েরা বুক ভরা একাকীত্বের বেদনা বয়ে, আহত হৃদয়ে,- তোর কাছ থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি ঠিক তেমনি ভালবাসা আর বিশ্বস্ততার পথ চেয়ে বসে থাকি। কিন্তু এই ভালবাসা আর বিশ্বস্ততা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে দুলভি• • •। তাদের কাছে এর কোন প্রয়োজন আছে বলেও মনে হয় না । বোধহয়, তোর বেশ মনে আছে, যখন আমার কাছে ঘোষাও তার পক্ষে দুঃসাধ্য ছিল, এমন কি আমার হাতটাতে পর্যন্ত ঠোট ছোয়াবার অনুমতিও তাকে দেইনি,-তখন কি অনুরাগই না ছিল তার আমার উপর। তোর মতো সেও সেদিন আমার চোখের দিকে এমনি করেই তাকিয়ে থাকতো । তখন নিজেকে বোঝাতাম আমার এই নিঃসঙ্গ জীবনের অবসান হল বুঝি। আমার এই জীবনটায় কারো প্রয়োজন আছে,-কেউ সব সময়েই আমার কথা ভাবছে,-আমার জন্য অপেক্ষা করছে,- এই চিন্তা যে মানুষকে কতখানি আনন্দ দিতে পারে, তা বােধ হয় তুই বুঝতে পারবিনে টম।”