পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

198 অনাদি ভলগা V পরিবর্তন নেমে আসছে। যে আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য, আশা ও আনন্দের সামগ্রী হয়ে উঠেছিল তারই চোখে তখন আমি হয়ে উঠি তেমনি ধরনের একটি মেয়ে দুদিনের চেষ্টাতেই যাকে বশে আনা যায়। তখন বুঝতে পারি পুরুষের যতকিছু আকর্ষণ তা কেবল ঐ বাধাটুকুকে জয় করবার জন্যই। “আজ বেশ মনে পড়ে এত বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও তোর উপর কি অন্যায় ব্যবহারটাই না। আমি করেছি।” বেদনায় ককিয়ে উঠে টম প্রভুর সুগোল হাটুটার উপর মাথাটাকে নামিয়ে রাখে। চােখ দুটো তখনও তার পালিকার মুখের দিকে আবদ্ধ। ‘আমি তোকে অনেক রকমে। অবহেলা করেছি। অতিরিক্ত ভালবাসিস বলেই সব সময়ই আমার সঙ্গে থাকতে চেয়েছিস তুই কিন্তু তাতে আমি বিরক্তই হয়েছি মাত্র। নিজের নিবুদ্ধিতায় তোর ভালবাসার মূল্য দিতে পারিনি। আমি । মানুষের ভালবাসায় বিশ্বাস ক’রে পশুর অনন্ত ভালবাসাকে আমি অপমান করেছি । ‘তারপর স্বাভাবিক যা তাই ঘটল । আমার উপর থেকে তার আকর্ষণ ক্রমেই শিথিল হয়ে আসতে শুরু করল। আমার কাছে খুব বেশী তখন আর সে আসতো না । একটা কিছু না কিছু কাজের অজুহাত তার থাকতই। তখন দেখতাম কি নির্যাতনই না ভোগ করেছিস তুই আমার. জন্য। তোর এই বুদ্ধিদীপ্ত চোখ তুলে আমার দিকে দূর থেকে তাকিয়ে তুই করুণভাবে আশে পাশে ঘুরে বেড়াতিস। প্রায়ই দেখতাম আমার বিছানার পায়ের দিকে তোর অভ্যন্ত জায়গাটায় শরীরটাকে সংকুচিত ক’রে,-থাবার উপর মাথা রেখে তুই নীরবে শুয়ে আছিস একা একা । তোর চোখ দেখে মনে হতো প্রকাশ্যে না হলেও সব সময়ই তুই আমাকে লক্ষ্য করছিস। “যখনই ঘর ছেড়ে বের হতে যেতাম,-কিসের যেন আশঙ্কায় তুই তোর মাখােটা ভুলভিস কিন্তু ওঠবার সাহস হতো না তোর। কিন্তু তোর চোখ