অনাদি ভলগা ዓዓr পেয়ালাটা কি কারণে যেন বার বার গরম জল দিয়ে খুব ভাল করে পরিষ্কার: করল । আজি সন্ধ্যায় তার হাতে কোনই কাজ ছিল না । সেই জন্যই বোধহয় সঙ্গীটির অনুপস্থিতি তার কাছে আমন বিরক্তিকর বলে মনে হচ্ছিল। রাতের খাবারটা দুজনের এক সঙ্গেই খেতে হয় কি না । “কি স্বার্থপর’-বিরক্তভাবে ঘরময় পায়চারি করতে করতে কথাটা সে নিজেকেই বলল। আমাকে ত একটা সংবাদ পাঠাতে পারতে যে তার দেরী হবে ফিরতে। হঠাৎ তার মাথায় একটা চিন্তা ঢুকল-হয়ত কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিনই তো লোক জন ট্রাম, মোটর চাপা পড়ে মরছে। কথাটা ভাবতেই সে অসম্ভব রকম ব্যাকুল হয়ে উঠল। সে তার আফিসে একবার টেলিফোনে সংবাদ নিতে চেষ্টা করল। কিন্তু কোনই উত্তর নেই। সবাই বোধ হয় অনেক আগেই আফিস ছেড়ে চলে গেছে। “কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার বলতে’-রিসিভারটা নামিয়ে রেখে কপালের দুই পাশে আঙুলের ডগাগুলো চাপতে চাপতে কথাটা সে নিজেকেই লক্ষ্য করে दहल ऐठेल । সন্ধ্যাটা একলা কাটাতে হয়েছে বলে প্রথমটায় সে বিরক্তই হয়েছিল। কিন্তু এখন তার জন্য সে দস্তুর মত শঙ্কিত আর চঞ্চল হয়ে উঠল। ভদ্রলোক যখন ফিরে এল রাতি তখন সাড়ে বারোটা । লিসা একরকম দৌড়েই তার দিকে এগিয়ে গেল। শঙ্কাটা তার তখনো কাটেনি। কিন্তু, তাকে সুস্থ ও নিরাপদ দেখে সে যেন হাফ ছেড়ে বঁাচল। “কি হয়েছিল তোমার ? এত রাত - রে ফিরলে কেন ? হাত দুটো বুকের উপর সংবদ্ধ করে সে তার সামনে একরকম চেচিয়েই উঠল বলা যেতে of “পথে আমার ভাবী পত্নী মরুসিয়ার সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে গেল।
