পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত Sók A বাড়িতে নিয়ে যেতে, তার আগে আসতে পারলে না-আচ্ছা সিলোেকর জামাটাতে আমায় কেমন দেখাতো ? -ওঃ-সাক্ষাৎ য়্যাপোলো বেলভেডিয়ার !"ঢের ঢেরস হামবাগ দেখেছি, কিন্তু তোর জড়ি খাঁজে পাওয়া ভার-বাকলি ? না-কিন্তু একটা কথা। অপণার মা কি বলেন তাহা জানিতে অপাের তত কৌতুহল-নাই-অপর্ণা কি বলিয়াছো-অপণা ?--- অপণা কিছ, বলে নাই ?-- হয়ত কেনারাম মািখয্যের ছেলের সঙ্গে বিবাহ না হওয়াতে মনে মনে দঃখিত হইয়াছে’-না ? প্রণবের মামা এ বিবাহে তত সন্তুষ্ট হন নাই, সত্রীর উপরে মনে মনে চটিয়াছেন এবং তাঁহার মনে ধারণা-প্রণবই তাহার মামীমার সঙ্গে ষড়যন করিয়া নিজের বন্ধর সঙ্গে বোনের বিবাহ দেওয়াইয়াছে। নাম নাই, বংশ নাই, চালচুলা "নাই-চেহারা লইয়া কি মানষি ধাইয়া খাইবে***কিন্তু এসব কথা প্রণব অপাকে কিছ: বলিল না । একটা কথা শনিয়া সে দঃখিত হইল ॥-কেনারাম মােখাজোর ছেলেটি নিজে দেখিয়া মেয়ে পছন্দ করিয়াছিল । অপণাকে বিবাহ করিবার অত্যন্ত আগ্রহ ছিল তাহার-কিন্তু হঠাৎ বিবাহ-সভায় আসিয়া কি যেন গোলমাল হইয়া গেল, সারারাত্রি কোথা দিয়া কাটিল, সকালবেলা যখন একটু হািশ হইল, তখন সে BDD DOODB DBDDYDDDS DBB DB DD DS এখনও তাহার। অবশ্য ঘোর কাটে নাই-বাড়ি ফিরিবার পথেও তাহার মাখে ওই কথা-এখন নাকি সে বন্ধ উন্মাদ ! ২ ঘরে তালা দিয়া রাখা হইয়াছে। অপ বলিল-হাসিস কেন, হাসবার কি আছে ?• • • পাগল তো নিজের ইচ্ছেয় হয় নি, সে বেচারির আর দোষ কি ? ও নিয়ে হাসি ভাল লাগে না । রাত্রে বিছানায় শাইয়া ঘাম হয় না।--কেবলই অপণার কথা মনে আসে । প্রণব এ কি করিয়া দিল তাহাকে ? সে যে বেশ ছিল, এ কোন সোনার শিকল তাহার মন্ত, বন্ধনহীন হাতে-পায়ে অদশ্য নাগপাশের মত দিন দিন জড়াইয়া পড়িতেছে ? লাইব্রেরীতে বসিয়া কেবল আজকাল বাংলা উপন্যাস পড়ে—দেখিল, তাহার মত বিবাহ নভেলে অনেকে ঘাঁটিয়াছে, অভাব নাই । পাজার সময় শবশরিবাড়ি যাওয়া ঘটিল না । একে তো অর্থাভাবে সে নিজের ভাল জামা-কাপড় কিনিতে পারিল না, শবশিরবাড়ি হইতে পাজার তত্ত্বে যাহা পাওয়া গেল, তাহা পরিয়া সেখানে যাইতে তাহার ভারী বান্ধবাধ ঠেকি ল । তাহা ছাড়া অপণার মা চিঠির উপর চিঠি দিলে কি হইবে, তাহার বাবার দিক হইতে জামাইকে পাজায় সময় লইয়া যাইবার বিশেষ কোন আগ্রহ দেখা গেল না। বরং তাঁহার নিকট হইতে উপদেশপােণ পত্র পাওয়া গেল যে, একটা ভাল চাকুরি যেন সে শীঘ্র দেখিয়া লয়, এখন অলপ বয়স, এই তো অর্থ উপাজনের সময়, এখন আলস্য ও ব্যসনে কাটাইলে - ‘এমনি ধরনের নানা কথা ! এখানে বলা আবশ্যক, এ বিবাহে তিনি অপকে একেবারে ফাঁকি দিয়াছিলেন, কেনারান মখায্যের ছেলেকে যাহা দিবার কথা ছিল তাহার সিকিও এ জামাইকে দেন নাই ।