পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

PRINS নিমালা মদ, মদ হাসিয়া বলিল-এ পদ্যটা আর মেলাতে হয় না। আপনার —বলন দিকি-সেই গাছ গাছ নয়, যাতে নেই ফল অপ, অকি-কষা ఫ్లో DDDYYBB D DBB BLYuuB DBDDBDD आ*न्म भन्म छादिक्षा —সেই লোক লোক নয়, যার নেই বল-হ’ল না ? নিমালা লাইন দশটি আপন মনে আব্বত্তি করিয়া ব্যঝিয়া দেখিল কোথায়ও কানে বাধিতেছে কি না। ঘােড় নাড়িয়া বলিল-আচ্ছা এবার বলন তো আর একটা —আমি আর বলব না।--তুমি ওরকম দন্টুমি কর কেন ? আমি অকিগলো -কষে নিই, তারপর যত ইচ্ছা পদ্য মিলিয়ে দেবো।-- --আচ্ছা এই একটা-সেই ফুল ফুল নয়, যার--মাকে এখনি উঠে গিয়ে বলে আসবো, নিমালা-ঠিক বলছি, ওরকম যদি নিমালা রাগ করিয়া উঠিয়া গেল । যাইবার সময় পিছন ফিরিয়া তাহার দিকে চাহিয়া বলিল-ওবেলা কে খাবার বয়ে আনে বাইরের ঘরে দেখবো।-- এরকম প্রায়ই হয়, অপ, ইহাতে ভয় পায় না । বেশ লাগে নিমােলাকে । পাজার পর নিমালার এক মামা বেড়াইতে আসিলেন । অপর শানিল, তিনি নাকি বিলাতফেরৎ-নিমালার ছোট ভাই নম্পতুর নিকট কথাটা শানিল । বয়স পাঁচিশ-ছাবিবশের বেশী নয়, রোগা শ্যামবাণী । এ লোক বিলাতফেরৎ ! বাল্যে নদীর ধারে ছায়াময় বৈকালে পরাতন “বঙ্গবাসী’তে পড়া সেই বিলাতযাত্রীর চিঠির মধ্যে পঠিত আনন্দভরা পরাতন পথ বাহিয়া মরভূমির পাশেবর সায়েজ খালের ভিতর দিয়া, নীল ভূমধ্যসাগরমধ্যস্থ দ্রাক্ষাকুঞ্জ-বেষ্টিত কাঁসিকা দরে ফেলিয়া সেই মধর স্বপ্নমাখা পথ-যাত্রা। এই লোকটা সেখানে গিয়াছিল ? এই নিতান্ত সাধারণ ধরণের মানষট-ষে দিব্য নিরীহমখে রান্নাঘরের দাওয়ায় বসিয়া মোচার ঘণ্ট দিয়া ভাত খাইতেছে ! দ’এক দিনেই নিমালার মামা অমরবাবার সহিত তাহার খাব আলাপ হইয়া (3)|| || বিলাতের কত কথা সে জানিতে চায় । পথের ধারে সেখানে কি সব গাছপালা ? আমাদের দেশের পরিচিত কোন গাছ সেখানে আছে ? প্যারিস খাব বড় শহর ? অক্ষরবাব নেপোলিয়নের সমাধি দেখিয়াছেন ? ডোভারের খাঁড়ির পাহাড় ? ৱিaি . উজিয়ামে নাকি নানা অদ্ভুত জিনিস আছে- কি কি ? আর ভেনিস টু-ইতালির আকাশ নাকি দেখিতে অপাব ? পাড়াগাঁয়ের স্কুলের ছেলে, এত সব কথা জানিবার কৌতুহল হইল কি করিয়া অমরাবাব, বর্ণিঝতে পারেন ‘মা । এত আগ্রহ করিয়া শনিবার মত জিনিস সেখানে কি আর আছে! এক - ধোঁয়া-বন্টি-শীত। তিনি পয়সা খরচ করিয়া সেখানে গিয়াছিলেন সী স্তুত প্রণালী শিখিবার জন্য, পথের ধারের গাছপালা দেখিতে যান নাই বা ইত • আকাশের রং লক্ষ্য করিয়া দেখিবার উপর্যন্ত্র সময়ের প্রাচুর্যও তাঁর ছিল না ।