পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

げbf Tayfurs জালিয়া সে পকেট হইতে আনিলের চিঠিখানা বাহির করিয়া আবার পড়িতে বসিল । আমায় যে ভাল বলে, সে আমার পরম বন্ধ, আমার মহৎ উপকার করে, আমার আত্মপ্রত্যয়কে সম্প্রতিষ্ঠিত হইতে সাহায্য করে, আমার মনের গভীয় গোপন কোনও লকোনো রত্নকে দিনের আলোয় মািখ দেখাইতে সাহস দেয় । পড়িতে পড়িতে পাশের বিছানার দিকে চাহিয়া মনে পড়ে-আজ আবার তাহার ঘরের অপর লোকটির এক আত্মীয় কাঁচরাপাড়া হইতে আসিমাছে এবং এই ঘরেই শাইবে । সে আত্মীয়টির বয়স বছর ত্রিশোক হইবে ; কাঁচরাপাড়া লোকো অফিসে চাকরি করে, বৈশী লেখাপড়া না জানিলেও অনবরত যা-তা ইংরেজী বলে, হরদম সিগারেট খায়, অত্যন্ত ধকে, অকারণে গায়ে পড়িয়া ভাই ভাই বলিয়া কথা বলে, তাহার মধ্যে ধারে আনা থিয়েটারের গল্প, আমােক য়্যাকট্রেস তারাবাঈ-এর ভূমিকায় যে-রকম অভিনয় করে, অনকে থিয়েটারের বিধমখীর মত গান-বিশেষ ক’রে হীরার দল প্রহসনে বেদেনীর ভূমিকায়, ‘নয়ন জলের ফাঁদ পেতোছ' নামক সেই বিখ্যাত গানখানি সে যেমন গায়, তেমন আর কোথায়, কে গাহিতে পারে ?-- তিনি এজন্য বাজি ফেলিতে প্রস্তুত আছেন । এসব কথা অপর ভাল লাগে না, থিয়েটারের কথা শনিতে তাহার কোনও কৌতুহল হয় না। এ লোকটির চেয়ে আলর ব্যবসাদারটি অনেক ভাল। সে পাড়াগাঁদের লোক, অপেক্ষাকৃত সরল প্রকৃতির, আর এত বাজে কথা বলে না ; অস্তুতঃ তাহার সঙ্গে তো নাই । এ ব্যক্তিটির যত গলপ তাহার সঙ্গে । মনে মনে ভাবে-একটু ইচ্ছে করে।--বেশ একা একটি ঘর হয়, একা বসে পড়ােশানো করি, টেবিল থাকে একটা, বেশ ফুল কিনে এনে গ্লাসের জলে দিয়ে সাজি:ে রাখি । এ ঘরটায় না আছে জানালা, পড়তে পড়তে একটু খোলা আকাশ দেখন্ধান্ন জো নাই, তামাফের গল রোজ পরিস্কার করি, আর রোজ ওরা এই রকম নোংরা করবো-মা ওয়াড় ক’রে দিয়েছিল, ছিড়ে গিয়েছে, কি বিশ্রী তেল চিটচটে বালিশটো হয়েছে- ! এবার হাতে, পয়সা হ’লে একটা ওয়াড় করবো । অনিলের সঙ্গে পরদিন বৈকালে গঙ্গার ধারে বেড়াইতে গেল । চাঁদপাল ঘাটে, প্রিন্সেপস ঘাটে বড় বড় জাহাজ নোঙর করিয়া আছে, অপ, পড়িয়া দেখিল ॥৪ BBBBB DODBB SBuOBBSS S BBBBBBD BDBB DDDB BD BBBS BB BBBB BDD ধরণের রং-করা একখানা বড় জাহাজ দেখিয়াছিল, নাম লেখা আছে ”শোনানডোয়', অনিল বলিল, আমেরিকান মাল জাহাজ -জাপানের পথে আমেরিকায় যায় । আপ অনেকক্ষণ দাঁড়িাইয়া জাহাজখানা দেখিল । নীল পোশাক-পরা একটা লস্কর রেলিং ধরিয়া ঝুকিয়া পড়িয়া জলের মধ্যে কি দেখিতেছে। লোকটি কি সখী !” কত দেশবিদেশে ফোঁড়ায়, কত সমন্দ্রে পাড়ি দেয়, চীন সমন্দ্রে টাইফুনে পড়িয়ছে, পিন্যাং-এর নারিকেলকুঞ্জের ছায়ায় কত দােপর কাটাইয়াছে, কত ঝড়বান্টির রাত্রে এই রকম রেলিং ধরিয়া দাঁড়াইয়া বাত্যক্ষবন্ধ, উত্তাল, উন্মত্ত মহাসমাদ্রের রূপ দেখিয়াছে। কিন্তু ও লোকটা বোঝে কি ? কিছুই না। ও কি দরি হইতে ফুজিয়ামা দেখিয়া আত্মহারা হইয়াছে ? দক্ষিণ আমেরিকার কোনও বন্দরে নামিয়া পথের ধারে কি গাছপালা আছে তাহা নিবিশিষ্ট মনে সাগ্রহে পরীক্ষা করিয়া