পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটা বেগুন। পাশে বসিয়া ভুবন মুখুয্যেদের সেজ ঠাকুরুণের ছেলেমেয়ের নতুন আখের গুড়ের পাটালি দিয়া দুধ ও কলা মাখিয়া ভাত খায় ; নিজের ছেলে মেয়েদের জন্য তাহার মায়ের মন কেমন করে । তাহার অপুও ওই-রকম দুধ কলা দিয়া পাটালি মাখিয়া ভাত খাইতে छांब्लोंग !- শান্ত মাঠের ধারের বনে রাঙা সন্ধ্যা নামে, বঁাশবনের পথে ফিরিতে শুধু ছেলের মুখই মনে পড়ে। নীলমণি রায়ের জঙ্গলাকীর্ণ ভিটার ওধারের খানিকটা বন দুৰ্গা নিজের হাতে দা দিয়া কাটিয়া পরিষ্কার করিয়া ভাইকে বলিল-দাড়িয়ে দ্ব্যাখ, তেঁতুলতলায় মা আসচে। কিনা-আমি চাল বের ক’রে নিয়ে আসি শীগগির ক’রে- একটা ভাল নারিকেলের মালায় দুই পলা তেল চুপি চুপি তেলের ভঁাড়টা হইতে বাহির করিয়া আনিল। অপহৃত মালামাল বাহিরে আনিয়া ভাইয়ের জিম্মা করিয়া বলিল-শীগগির নিয়ে যা, দৌড়ে অপু-সেইখানে রেখে আয়, দেখিস যেন গরু-টরিরুতে খেয়ে ফেলে না এমন সময় মাতোর মা তাহার ছোট ছেলেকে পিছনে লইয়া খিড়িকীর দোর দিয়া উঠানে ঢুকিল। দুৰ্গা বলিল—এদিকে কোখেকে তিমরেজের বৌ ? মাতোর মায়ের বয়সও খুব বেশী নয়, দেখিতেও মন্দ ছিল না, কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর হইতেই কষ্টে পড়িয়া মলিন ও শীর্ণ হইয়া পড়িয়াছে। বলিল— কুঠির মাঠে গিয়াছিলাম কাঠ কুন্ডুতি-বুইচের মালা নেবা ? দুৰ্গা তো বন বাগান খুজিয়া নিজেই কত দৈচিফল প্রায়ই তুলিয়া আনে, ঘাড় নাড়াইয়া বলিল-সে কিনিবে না । মাতোর মা বলিল--নেও না দিদি ঠাকুরোেণ, বেশ মিষ্টি বুইচে। মধুখালির বিলির ধারের থে তুলেলাম-কেঁচড় হইতে একগোছা মালা বাহির করিয়া দেখাইয়া বলিল--দেখো কত বড় বড় ! কাঠ নিয়ে বাজারে যেতি, বিক্রী কত্তি, পয়সা পেতি বড বেলা হয়ে যাবে, মাতোরে ততক্ষণ এক পয়সার মুড়ি किएन (लडांग। 6न 9, श्रवन ब्रि छू शांछि ८द्धांनि দুৰ্গা রাজি হইল না, বলিল-অপু, ঘাঁটিতে একগাল-খানিক চালভাজা আছে, নিয়ে এসে মাতোর হাতে দেতো ! উহার খিড় কী দোর দিয়াই পুনরায় বাহির হইয়া গেলে দুজনে জিনিসপত্র লইয়া চলিল। চারিদিক বনে ঘেরা। বাহির হইতে দেখা যায় না । খেলাঘরের মাটির ছোবার মত ছোট একটা হাড়িতে দুৰ্গা ভাত চড়াইয়া দিয়া বলিলএই দ্ব্যাখ্যা অপু, কত বড় বড় মেটে আলুর ফল নিয়ে এসিটি এক জায়গা