থেকে। পুটিদের তালতলায় একটা ঝোপের মাথায় অনেক হয়ে আছে, ऊांऊ • • • অপু মহা উৎসাহে শুকুনা লতা-কাটি কুড়াইয়া আনে। এই তাঁহাদের প্রথম বন-ভোজন। অপুর এখনও বিশ্বাস হইতেছিল না যে, এখানে সত্যিকারের ভাত-তরকারী রান্না হইবে, না খেলাঘরের বনভোজন, যা কতবার হইয়াছে, সে রকম হইবে,-ধূলার ভাত, খাপরার আলুভাজা, কঁাটাল পাতার लू ि? কিন্তু বড় সুন্দর বেলাটি। বড় সুন্দর স্থান বন-ভোজনের ! চারিধারে বনঝোপ, ওদিকে তেলাকুচা লতার দুলুনি, বেলগাছের তলে জঙ্গলে সেওড়া গাছে ফুলের ঝাড়, আধ-পোড়া কটা দূৰ্বাঘাসের উপর খঞ্জন পাখীরা নাচিয়া নাচিয়া ছুটয় বেড়াইতেছে, নির্জন ঝোপ-ঝাপের আড়ালে নিভৃত নিরাল স্থানটি ! প্রথম বসন্তের দিনে ঝোপে-ঝোপে নতুন কচি পাতা, ঘেটুফুলের ঝাড় পোড়ো ভিটাটা আলো করিয়া ফুটিয়া আছে, বাতাবি লেবু গাছটায় কয়দিনের কুয়াসায় ফুল অনেক ঝরিয়া গেলেও থোপা থোপা সাদা সাদা ফুল উপরের एछicब्ल (5ांश श्रृंg । দুৰ্গা আজকাল যেন এই গাছপালা, পথঘাট, অতি পরিচিত গ্রামের প্রতি অন্ধি-সন্ধিকে অত্যন্ত বেশী করিয়া আঁকড়াইয়া ধরিতেছে । আসন্ন বিরহের কোন বিষাদে এই কত প্রিয় গাবতলায় পথটি, ওই তাহদের বাড়ীর পিছনের বঁাশবন, ছায়া ভরা নদীর ঘাটটি আচ্ছন্ন থাকে। তাহার অপু-তাহার সোনার খোকা ভাইটি, যাহাকে এক বেলা না দেখিয়া সে থাকিতে পারে না, মন হু হু করে-তাহাকে ফেলিয়া সে কতদূর যাইবে । আর যদি সে না ফেরে-যদি নিতম পিসির মত হয় ? এই ভিটাতেই নিতম পিসি ছিল, বিবাহ হইয়া কতদিন আগে কোথায় চলিয়া গিয়াছে, আর বাপের ভিটাতে ফিরিয়া আসে নাই ! অনেককাল আগের কথা-ছেলেবেলা হইতে গল্প শুনিয়া আসিতেছে ! সকলে বলে বিবাহ হইয়াছিল মুর্শিদাবাদ জেলায়, সে কতদূর ? কোথায় ? কেহ আর তাহার খোজ-খবর করে না ; আছে কি নাই, কেহ জানে না । ব্যাপকে নিতম পিসি আর দেখে নাই ; মাকে আর দেখে নাই, ভাই-বোনকেও না। সব একে একে মরিয়া গিয়াছে। মাগো, মানুষ কেমন করিয়া এমন নিষ্ঠুর হয়। কেন তাহার খোজ কেহ যে করে নাই ! কতদিন সে নির্জনে এই নিতম পিসির কথা ভাবিয়া চোখের জল ফেলিয়াছে ! আজি যদি হঠাৎ সে ফিরিয়া আসে-এই ঘোর-জঙ্গল-ভরা জনশূন্য বাপের ভিটা দেখিয়া কি ভাবিবে? S8 “እ
