পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাকিয়া বলে-ঠিক একেবারে সত্যিকারের বেগুন ভাজার মত রং হচ্চে দেখচিল অপু ! ঠিক যেন মা’র রান্না বেগুন ভাজা, না ? অপুরও ব্যাপারটা আশ্চর্য বোধ হয় । তাহারও এতক্ষণ যেন বিশ্বাস হইতেছিল না যে তাহদের বন-ভোজনে সত্যিকার ভাত, সত্যিকার বেগুনভাজা, সম্ভবপর হইবে । তাহার পর দু’জনে মহা আনন্দে কলার পাতে খাইতে বসে, শুধু ভাত আর বেগুন ভাজা, আর কিছু না। অপু গ্রাস মুখে তুলিবার সময় দুৰ্গা সেদিকে চাহিয়াছিল, আগ্রহের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে,-কেমন হয়েছে রে। বেগুন ভাজা ? অপু বলে,-বেশ হয়েচে দিদি, কিন্তু নুন হয়নি যেনলবণকে রন্ধনের উপকরণের তালিকা হইতে ইহারা অন্য একেবারে বাদ দিয়াছে, লবণেব বালাই রাখে নাই। কিন্তু মহাখুশিতে তিনজনে কোষে মেটে-আলুর ফল ও পানসে আধ-পোডা বেগুন ভাজা দিয়া চড়ুই-ভাতির ভাত খাইতে বসিল । দুৰ্গার এই প্রথম রান্না, সে বিস্ময়মিশানো আনন্দের সঙ্গে নিজের হাতের শিল্প-সৃষ্টি উপভোগ করিতেছিল। এই বন-কোপের মধ্যে, এই শুকুনো আতাপাতার রাশের মধ্যে, খেজুরতলায় ঝরিয়া-পডা খেজুব পাতাব পাশে বসিযা সত্যিকারেব ভাত-তরকারী খাওয়া ! খাইতে খাইতে দুৰ্গা অপুর দিকে চাহিয়া হিহি। করিয়া খুশির হাসি হাসিল। খুশিতে ভাতেব দল তাহাব গলাব মধ্যে আট্‌কাইয়া যাইতেছিল যেন । বিনি খাইতে খাইতে ভয়ে ভয়ে বলিল—একটু তেল আছে দুগগাদি ? মোট আলব ফল ভাতে মেখে নিতাম । দুৰ্গা বলিল-আপু, ছুটে নিয়ে আয় একটু তেল - যে জীবন কত শত পুলকের ভাণ্ডাব, কত আনন্দ-মুহুর্তের আলো-জ্যোৎসব অবদানে মণ্ডিত, ইহাদের সে মাধুরীময় জীবনযাত্রাব সবে তো আৰম্ভ । অন্সং ধে জীবনপথ দূৰ হইতে বহুদূবে দৃষ্টিব কোন ওপাবে দিসর্পিত, সে পথে ; ই০ারা নিতা স্তু ক্ষুদ্র পথিকদল, পগোব লাকে ফুলেফলে দু:খসুখে, ইন্স, দে’ অ “ার্থনা একেবারে নতুন। আনন্দ । আনন্দ । প্রসারে বা আনন্দ, জীবনের মাঝে মাঝে যে অ্যাডাল আছে, বিশাল তুষারমৌলি গিরিসঙ্কটের ওদিকেব। যে পথটা দেখিতেছে না, তাহার আনন্দ । অজানার আনন্দ ! সামান্য সামান্য, ছোটখাটো তুচ্চ জিনিসের আনন্দ ! অপু বলিল-মাকে কি বলবি দিদি ? আবার ওবেলা ভাত খাবি ? —দূর, মাকে কখনো বলি! সন্দের পর দেখিস খিদে পাবে এখন S8