পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু দিদির পাচিলের ওপিঠে যাইবার দরকার হয় না। এপিঠেই झां शङ्क्षे श्वांश्च । পথের পাঁচালী বিংশ পরিচ্ছেদ কথাটা সর্বজয়া ঘাটে গিয়া পাডার মেয়েদের মুখে শুনিল । আজি কয়েকদিন হইতে নীরোনের সঙ্গে অন্নদা রায়ের, বিশেষ করিয়া তাহার ছেলে গোকুলের মনান্তর চলিতেছিল। কাল দুপুর বেলা নাকি খুব ঝগড়া ও চেচামেচি বাধে। ফলে কাল রাত্রেই নীরেন জিনিসপত্র লইয়া এখান হইতে চলিয়া গিয়াছে। অন্নদা রায়ের প্রতিবেশী যজ্ঞেশ্বর দীঘড়ীর স্ত্রী হরিমতি বলিতেছিলেন--সত্যি মিথ্যে জানিনে, ক’দিন থেকে তো নানা রকম কথা শুনতে পাচ্ছি-আমি বাপু বিশ্বোস করিনে, বৌটা তেমন নয়। আবার নাকি শুনলাম নীরেন লুকিয়ে টাকা দিয়েছে, বৌ নাকি টাকা কোথায় পাঠিয়েছিল, নীরেনের হাতের লেখা রসিদ ফিরে এসে গোকুলের হাতে পড়েচে, এই সব। —যাক্‌ বাপু, সে সব পরের কুচ্ছ শুনে কি হবে ? নীরেন শুনলাম বলেচেআপনারা সকলে মিলে একজনের উপর অত্যাচার কর্তে পারেন, তাতে দোষ হয় না ?--আপনারা ভাবেন ভাবুন, বৌ ঠাকুরুণ একবার হুকুম করুন। আমি ওঁকে এই দণ্ডে আমার হারানো মায়ের মত মাথায় ক’রে নিয়ে যাবো।--তারপর আপনারা যা করবার করবেন। তারপর খুব হৈ চৈ খানিকক্ষণ হোল-সন্দের আগেই সে গয়ালাপাড়া থেকে একখানা গাড়ী ডেকে আনলে, জিনিসপত্তর নিয়ে চলে গেল । সর্বজয়া কথাটি শুনিয়া বড় দমিয়া গেল । ইতিমধ্যে স্বামীকে দিয়া অন্নদা রায়কে নীরেনের পিতার নিকট এ বিবাহ সম্বন্ধে পত্র লিখিতে অনুরোধ করিয়াছে। নীরেনকে আরও দুইবার বাড়ীতে নিমন্ত্রণ করিয়াছিল--ছেলেটিকে তাহার অত্যন্ত পছন্দ হইয়াছে। হরিহর তাহাকে অনেকবার বুঝাইয়াছে, নীরেনের পিতা বড় লোক-তাহদের ঘরে তিনি কি আর পুত্রের বিবাহ দিবেন ? সর্বজয়া কিন্তু আশা ছাড়ে নাই, তাহার মনের মধ্যে কোথায় যেন সাহস পাইয়াছে-এ বিবাহের যোগাযোগ যেন দুরাশা নয়, ইহা ঘটবে। At