পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমার-পাড়ার মোড়ে দুপুরের পর হইতেই সকল ছেলের সঙ্গে দাড়াইয়া থাকিবার পর দূরে একখানা গরুর গাড়ী তাহার চোখে পড়িল। সাজের বাক্স বোঝাই-এক, দুই, তিন, চার, পাচ খানা ! পটু একে একে আঙলি দিয়া গুণিয়া খুশির সুরে বলিল-আপুদা, আমরা এদের পেছনে পেছনে এদের বাসায় গিয়ে দেখে আসব, যাবি ? সাজের গাড়ীগুলোর পেছনে দলের লোকেরা যাইতেছে, সকলের মাথায় টেরিকাটা, অনেকের জুতা হাতে। পটু একজন দাড়িওয়ালা লোককে দেখাইয়া কহিল—এ বোধহয় রাজা সাজে, না অপুদা ? আকাশ বাতাসের রং একেবারে বদলাইয়া গেল-অপু মহা উৎসাহে বাড়ী ফিরিয়া দেখে তাহার বাবা দাওয়ায় বসিয়া কি লিখিতেছে ও গুনগুনা করিয়া গান করিতেছে। সে ভাবে যাত্রা আসিবার কথা তাহার বাবাও জানিতে পারিয়াছে, তাই এত স্মৃতি। উৎসাহে হাত নাডিয়া বলে—সাজ একেবারে পােচ গাডী বাবা ! এ রকম দল - হরিহর শিন্যবাড়ী বিলি করার জন্য বালির কাগজে কবচ লিখিতেছিল, মুখ তুলিয়া বিস্ময়ের সুরে বলে-কিসের সাজ রে খোকা ? অপু আশ্চর্য হইয়া যায়, এতবড় ঘটনা বাবার জানা নাই ! বাবাকে সে নিতান্ত কৃপার পাত্র বিবেচনা করে । সকালে উঠিয়া অপুকে পড়িতে বসিতে হয়। খানিক পরে সে কঁাদো। কঁদো ভাবে বলে-আমি বারোয়ারী তলায় যাবো বাবা, সকলে যাচ্চে আর আমি এখন বুঝি বসে বসে পডবে! এখা খুনি যদি যাত্রা আরম্ভ হয় ? তাহার বাবা বলে-পডো, পড়ো, এখন ব’সে পড়ে, যাত্রা আরম্ভ হ’লে ঢোল বাজবার শব্দ তো শুনিতে পাওয়া যাবে। তখন না হয় যেও এখন । প্রৌঢ় বয়সের ছেলে, নিজে সব সময়ে আজকাল বিদেশে থাকে; অল্পদিনের জন্য বাড়ী আসিয়া ছেলেকে চোখ-ছাড়া করিতে মন চায় না। অভিমানে রাগে অপুর চোখ দিয়া জল পড়িতে থাকে। সে কান্না-ভরা গলায় আবার শুভঙ্করী শুরু করে-মাস মাহিনী যার যত, দিন তার পড়ে কত ? কিন্তু সকালে যাত্রা বসে না, খবর আসে ওবেলা বসিবে। ওবেলা অপু মায়ের কাছে যাইয়া কঁাদো কাদো ভাবে বাবার অত্যাচারের কাহিনী আনুপূবিক বর্ণনা করে। সর্বজয়া আসিয়া বলে—দাও না গো ছেলেটাকে ছেড়ে ? BDBBB uDJSDBBBB Y DBBS DDDDBD DBD BD DBBDBSDDDS একদিনের পড়াতে একেবারে তত্কালঙ্কার ঠাকুর হয়ে উঠবে কি না ! অপু ছুটি পায়। সারা দুপুর তাহার বারোয়ারী তলায় কাটে। বৈকালে S.