পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তলোয়ার ঝুলাইবে, যুদ্ধ করিবে। বড় হইলে সে যাত্রার দলে যাইবেই, উহাই তাহার জীবনের ধ্রুব লক্ষ্য। অজয় তাহাকে চুপি চুপি কষ্টি-পাথরের-রং একটা ছোকরাকে দেখাইয়া কহিল, এই যে দেখচে, এর নাম বিষ্ট তেলি।। আমার সঙ্গে মোটে বনে না, আমার নিজের পয়সার দেশালাই কিনে বালিশের তলায় রেখে শুই, দেশলাই উঠিয়ে নেয় চুরুট খেতে, আর দেয়। না । আমি বলি, আমার রাত্রে ভয় করে, দেশলাইট দাও । অন্ধকারে মন ছম ছম করে, তাই সেদিন চেয়েছিলাম ব’লে এমনি থাবাড়া একটা মেরেচে ! নাচে ভালো বলে অধিকারী বড় খাতির করে, কিছু বলবারও যো নেই দিনপাচেক পরে যাত্রা দলের গাওনা শেষ হইয়া গেলে তাহারা রওনা হইল । অজয় বাড়ীর ছেলের মত যখন তখন আসিত যাইত, এই কয় দিনে সে যেন অপুরই আর এক ভাই হইয়া পডিয়াছিল। অপুরই বয়সী ছোট ছেলে, সংসারে কেহ নাই শুনিয়া সর্বজয় তাহাকে এ কয়দিন অপুর মত যত্ন করিয়াছে। দুৰ্গাও তাহাকে আপন ভাইয়ের চোখে দেখিয়াছে—তাহার কাছে গান শিখিয়া লইয়াছে, কত গল্প শুনাইয়াছে, তাহার পিসিমার কথা বলিয়াছে, তিনজনে মিলিয়া উঠানে বড় ঘর আঁকিয়া গঙ্গা যমুনা খেলিয়াছে, খাইবার সময় জোর করিয়া বেশী খাইতে বাধ্য করিয়াছে। যাত্রাদলে থাকে, কে কোথায় দ্যাখে, কোথায় শোয়, কি খায়, ‘আহা’ বলিবার কেহ নাই ; গৃহ-সংসারের যে স্নেহস্পর্শ বোধ হয় জন্মাবধিই তাহার ভাগ্যে ঘটে নাই, অপ্রত্যাশিতভাবে আজ তাহার স্বাদ লাভ করিয়া লোভীর মত সে কিছুতেই छांgिना शांक्षेड फ़ांश्रिउछिल म। যাইবার সময় সে হঠাৎ পুটুলি খুলিয়া কষ্টে সঞ্চিত পাঁচটি টাকা বাহির করিয়া সর্বজয়ার হাতে দিতে গেল। একটু লজ্জার সুরে বলিল—এই পাঁচটা টাকা দিয়ে দিদির বিয়ের সময় একখানা ভাল কাপড় সর্বজয়া বলিল-না। বাবা, না-তুমি মুখে বললে এই খুব হোল, টাকা দিতে হবে না, তোমার এখন টাকার কত দরকার-বিয়ে-খাওয়া ক’রে সংসারী হতে হবে তবু সে কিছুতেই ছাড়ে না। অনেক বুঝাইয়া। তবে তাহাকে নিরস্ত করিতে झ्छ्रेल । তাহার পর সকলে উহাদের বাড়ীর দরজার সামনে খানিকটা পথ পর্যন্ত তাহাকে আগাইয়া দিতে আসিল । যাইবার সময় সে বার বার বলিয়া গোল দিদির বিয়ের সময় অবশ্য করিয়া যেন তাহাকে পত্র দেওয়া হয় । Se