পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBD DDD EK BBB DBBz BESS BDDD EB Du DDuDDB ধারে কীচিকাটা খালের মুখে ছিপে খুব মাছ ওঠে। প্রায়ই সে এইখানটিতে গিয়া নদীতীরে একটা বড় ছাতিম গাছের তলায় মাছ ধরিতে বসে। স্থানটা তাহার ভারি ভালো লাগে, একেবারে নির্জন, দুধারে নদীর পাড়ে কত কি গাছপালা নদীর জলে ঝুকিয়া পড়িয়াছে, ওপারে ঘন সবুজ উলুবন, মাঝে মাঝে লতাদোলানো কদম শিমুল গাছ, বেগুনী রংএর বনকলমী ফুলে ছাওয়া ঝোপ, দূরে মাধবপুর গ্রামের বঁাশবন, পাখীর ডাকে, বনের ছায়ায়, উলুবনের শ্যামলতায় মেশামোশি মাখামাখি স্নিগ্ধ নির্জনতা ! সেই ছেলেবেলায় প্রথম কুঠীর-মাঠে আসার দিনটি হইতে এই মাঠ-বন নদীর কি মোহ যে তাহাকে পাইয়া বসিয়াছে ! ছিপ ফেলিয়া ছাতিম গাছের ছায়ায় বসিয়া চারিদিকে চাহিতেই তাহার মন অপূর্ব পুলকে ভরিয়া ওঠে। মাছ হোক বা না হোক, যখনই ঘন বৈকালের ছায়া মাঠের ধারের খেজুর ঝোপের ডাসা খেজুরের গন্ধে ভরপুর হইয়া উঠে, স্নিগ্ধ বাতাসে চারিধার হইতে বৌ-কথা-কও, পাপিয়ার ডাক ভাসিয়া আসে, ডালে-ডালে অভ্র-আবীর ছড়াইয়া সূর্যদেব সোনাডাঙার মাঠের সেই ঠ্যাঙাড়ে বটগাছটার আড়ালে হেলিয়া পড়েন, নদীর জল কালো হইয়া যায়, গাঙশালিকের দল কলরব করিতে করিতে বাসায় ফেরে, তখনই তাহার মন বিভোর হইয় ওঠে, পুলক-চোখে চারিদিকে চাহিয়া দেখে ; মনে হয়-মাছ না পাওয়া গেলেও রোজ সে এইখানটিতে আসিয়া বসিৰে, ঠিক এই বড় ছাতিমগাছের তলাটাতে। মাছ প্রায়ই হয় না, শরের ফাৎনা স্থির জলে দণ্ডের পর দণ্ড নিবাত নিষ্কম্প দীপশিখার মত অটল । একস্থানে অতিক্ষণ বসিয়া থাকিবার ধৈর্য তাহার থাকে। না, সে এদিকে ওদিকে ছটফটু করিয়া বেড়ায়, ঝোপের মধ্যে পাখীর বাসার খোজে ফিরিয়া আসিয়া হয়ত চােখে পড়ে ফাৎনা একটু একটু ঠুকরাইতেছে। ছিপ তুলিয়া বলে-দূর ! কেীয়া মাছের ঝাঁক লেগেছে, এখানে কিছু হবে না। পরে সেখান হইতে ছিপ তুলিয়া একটু দূরে শেওলা দামের পাশে গিয়া টোপ ফেলে । জলটার গভীর কালো রংএ মনে হয় বড় রুই কাৎলা এখনি টোপ গেলে আর কি! ভ্রম ঘুচিতে বেশী দেরী হয় না, পরের ফাৎনা নিবিকল্প সমাধির অবস্থা প্রাপ্ত হয় । ܕܪ এক একদিন সে এক-একখানা বই সঙ্গে করিয়া আনিয়া বলে । , ছিপ ফেলিয়া বই খুলিয়া পড়ে। সুরেশের নিকট হইতে সে একখানা নীচের ক্লাসের ছবিওয়ালা ইংরেজি বইও তাহার অর্থপুস্তক চাহিয়া লইয়াছে। ইংরাজি সে বুঝিতে পারে না, অর্থপুস্তক দেখিয়া গল্পের বাংলাটা বুধিয়া লয় ও